ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চমক নেই তবে সুযোগ পেয়েছেন পারফর্মাররাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
চমক নেই তবে সুযোগ পেয়েছেন পারফর্মাররাই ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াডে চমকে দেয়ার মতো কোনো নতুন নাম নেই। তবে তারাই সুযোগ পেয়েছেন যারা সদ্য সমাপ্ত বিপিএল ও জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) পারফর্ম করেছেন।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে একথা জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা কমিটির প্রধান আকরাম খান।

আকরাম বলেন, ‘নতুন? না।

এখানে বিপিএলে যাদের পারফরম্যান্স আছে এবং ন্যাশনাল লিগেও যারা ভাল করেছে তাদের থাকার সম্ভাবনা আছে। ওরাই আছে। ’

আসন্ন দুটি সিরিজকে সামনে রেখে ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে টাইগারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। আর সেই ক্যাম্পের জন্য শনিবার বিসিবিতে প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের তালিকা  জমা দিয়েছেন নির্বাচকরা। যার ঘোষণা হওয়ার কথা  ২৪ ডিসেম্বর।

প্রাথমিক স্কোয়াডের সংখ্যাটি ৩০ এর বেশি হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন আকরাম। তাদের নিয়েই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ঝাঁপিয়ে পড়বেন ট্রেনার মারিও ভিল্লা ভারায়ন। ‘সংখ্যা ৩০ এর বেশি হবে। এখানে আমরা সবার ফিটনেস দেখবো। যেহেতু ফিটনেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফিটনেস দেখে কিছুদিন কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার পর সিলেক্টররা সংখ্যাটা কমিয়ে যেটা দেবে সেটাই ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের জন্য বিবেচিত হবে। ’

ট্রেনার হিসেবে মারিওকে পেলেও অবধারিতভাবে হেড কোচ হিসেবে কাউকেই আসন্ন এই দুই সিরিজে পাচ্ছে না টাইগাররা। তবে গেমস ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান ও বিগত দিনগুলোতে জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ সুজন টেকনিক্যাল বা টিম ডিরেক্টর হিসেবে দলের সার্বিক বিষয় দেখভালের দায়িত্ব থাকবেন।

‘আপাতত আমরা টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে দিয়ে চালিয়ে যাব। এ ধরনের একটা পদেই সুজন থাকবে। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর বা টিম ডিরেক্টর। যেহেতু সে ইনভলব আছে। আপনারা জানেন অনেক দিন যাবৎ সে দলের সাথে টিম ম্যানেজার হিসিবে আছে। তার ভূমিকাটাও এই সিরিজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’-যোগ করেন আকরাম।

তিন জাতির সিরিজ খেলতে আগামী ১০ জানুয়ারি ঢাকায় আসবে জিম্বাবুয়ে। মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ১১ ও ১২ জানুয়ারি অনুশীলন শেষে ১৩ জানুয়ারি বিসিবি একাদশের বিপক্ষে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে তারা। ওই দিনই ঢাকায় এসে পৌঁছাবে শ্রীলঙ্কা।

১৫ জানুয়ারি শের-ই-বাংলায় গড়াবে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ। যেখানে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জানুয়ারি।

ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গড়াবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। টেস্ট ছাড়াও আছে দুটি টি-টোয়েন্টি। যার শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।