ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শের-ই-বাংলায় ব্যাপক সংস্কার

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
শের-ই-বাংলায় ব্যাপক সংস্কার শের-ই-বাংলায় ব্যাপক সংস্কার/ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঘরের মাঠে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরবর্তী আন্তর্জাতিক সিরিজ। সারা বছর ব্যস্ত থাকা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম পাচ্ছে বিশ্রাম। লম্বা এ সময়টা কাজে লাগাচ্ছে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি। প্রায় ১০ বছর পর মাঠের সংস্কার কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা: ঘরের মাঠে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরবর্তী আন্তর্জাতিক সিরিজ। সারা বছর ব্যস্ত থাকা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম পাচ্ছে বিশ্রাম।

লম্বা এ সময়টা কাজে লাগাচ্ছে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি। প্রায় ১০ বছর পর মাঠের সংস্কার কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এখন চলছে উইকেটের কাজ। পুরণো মাটি সরিয়ে উইকেটে বসানো হচ্ছে নতুন মাটি। মাঠ সংস্কারের বড় অংশ ড্রেনেজ ব্যবস্থায়। মাটির নিচে থাকা পাইপ পরিবর্তন, বালু ফেলা-সরানোর কাজ চলবে জানুয়ারি থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত।

শের-ই-বাংলায় ব্যাপক সংস্কার/ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএ উদ্যোগ নিয়ে বিসিবির গ্রাউন্ড অ্যান্ড ফ্যাসিলিটিজ কমিটির ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন জানান, ‘মিরপুরের মাঠ তৈরি হয়েছে প্রায় ১০ বছর হয়ে গেছে। সে কারণে আমরা ড্রেনেজ সিস্টেমটা একটু ঝালিয়ে দেখবো। মাটির নিচে যে জিও ট্যাক্স পাইপ, নেটিং সিস্টেম, বালু-পাথর দেয়া হয়েছে তা কার্যকরী আছে কিনা তা দেখবো। অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ-আলোচনা করছি। জানুয়ারিতেই আমরা কাজ শুরু করতে পারবো। জুন-জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ’

এমনিতেই শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উপমহাদেশের মধ্যে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে। আব্দুল বাতেন মনে করেন সংস্কার কাজ শেষ হলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে, ‘গত এশিয়া কাপের ফাইনালে আপনারা দেখেছেন কী ঝড়-বৃষ্টি! মাঠে পানি জমে গেল। বৃষ্টি থামার এক ঘণ্টার মধ্যেই কিন্তু আবার খেলা মাঠে গড়ায়। এমনিতে মাঠের কোনো সমস্যা নেই। তবে, আমরা চাই আরেকটু ভালো হোক। কাজ হলে আরও উন্নত হবে, আউটফিল্ড আরও ভালো হবে। ’

শের-ই-বাংলায় ব্যাপক সংস্কার/ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম২০০৪ সালে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম দখল পাওয়ার পর বিসিবি মাঠ নতুন করে ক্রিকেটের জন্য তৈরি করেছিল। ছয় বছর পর মাঠ সংস্কারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত সূচির (আন্তর্জাতিক সিরিজ) কারণে মাঠের কাজ সেভাবে করতে পারেনি বিসিবি। আগামী জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের সব খেলাই দেশের বাইরে। মোক্ষম সুযোগটা তাই হাতছাড়া করছে না বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬
এসকে/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।