ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পাকিস্তানকে বিদায় করে সেমিতে বাংলাদেশ যুবারা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
পাকিস্তানকে বিদায় করে সেমিতে বাংলাদেশ যুবারা ছবি: সংগৃহীত

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ যুবারা। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ উইকেটের জয় পেলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে পড়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল গত আসরের রানার্সআপ পাকিস্তান। আফিফ হোসেনের ৮০ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের দেয়া ২৩১ রানের লক্ষ্যটা তারা ৯ উইকেট হারিয়ে পাঁচ বল হাতে রেখে অতিক্রম করে।

ঢাকা: অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ যুবারা। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ উইকেটের জয় পেলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে পড়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল গত আসরের রানার্সআপ পাকিস্তান।

আফিফ হোসেনের ৮০ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের দেয়া ২৩১ রানের লক্ষ্যটা তারা ৯ উইকেট হারিয়ে পাঁচ বল হাতে রেখে অতিক্রম করে।

অাগামী মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) প্রথম সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। পরদিন দ্বিতীয় সেমিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ অ-১৯ দল। দু’টি ম্যাচই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে। একই গ্রাউন্ডে একই সময়ে ফাইনাল ২৩ ডিসেম্বর।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের সঙ্গী এখন আফগানিস্তান। সেমির টিকিট পেতে পাকিস্তানের জন্য এটি ছিল ‘মাস্ট উইন ম্যাচ’। তার ওপর নেট রান রেট বিবেচনায় বড় ব্যবধানে জয়ের বিকল্প ছিল না। কিন্তু, টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দিন শেষে তাদের হতাশাই সঙ্গী হলো!

তিন ম্যাচ শেষে সমান দুই জয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান তিন দলেরই সমান ৯ পয়েন্ট (তিন দলই এক ম্যাচে দাপুটে জয়ে বোনাস পয়েন্ট পায়)। টানা তিন ম্যাচ হেরে ‘বি’ গ্রুপের তলানিতে সিঙ্গাপুর।

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেমি নিশ্চিতের বাঁচা-মরার ম্যাচে পাকিস্তানকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মুহাম্মদ জায়েদ আলম (৫০) ও মুহাম্মদ মহসিন খান (২৯)। ওপেনিং জুটিতে আসে ৮৬ (১৩.৩ ওভার)। এছাড়া আব্দুল্লাহ শফিক ৩০, অধিনায়ক নাসির নওয়াজ ৪৫ ও আলী জারইয়াব আসিফ ৩৩ রান করে আউট হন।

এক পর্যায়ে ৪১তম ওভারে স্কোরবোর্ডে চার উইকেটে ২০১ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। ওখান থেকেই ধস নামে। অনিক-আফিফ-সাখাওয়াতদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৬ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে উল্টো হারের শঙ্কায় পড়ে তারা।

শেষদিকে বিপর্যয়ের মুহূর্তে দলের হাল ধরেন সাদ খান। ২৯ বলে ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে টাইগারদের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি। মুকিদুল ইসলামের করা ৫০তম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে উইনিং শট খেলেন ১১ নম্বরে নামা মুহাম্মদ হাসনাইন (৪ অপ.)। সাদ-হাসনাইনের দশম উইকেট জুটিতে আসে ১৭ রান।

শাখাওয়াত হোসেন ও আফিফ হোসেন দু’টি করে উইকেট লাভ করেন। দলপতি সাইফ হাসান নেন একটি। পাকিস্তানের চার ব্যাটসম্যানই রান আউটের ফাঁদে পড়েন। একে একে সাজঘরে ফেরেন জায়েদ আলম, জায়রাব ‍আসিফ, উমর খান (১) ও মনসুর আলী (৪)।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ আফিফ হোসেনের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায়। ৯৪ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮০ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন বিপিএলে আলো ছড়ানো এ উঠতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার। সাইফ হাসান ৩২ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন মোহাম্মদ রাকিব।

পাকিস্তানের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন শাহীন শাহ আফরাদি, মুহাম্মদ হাসনাইন, উমর খান ও নাসির নওয়াজ। একটি পান সাদ খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।