রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে পাকিস্তানে গিয়ে ভারতকে খেলতে অনুমতি দেয়নি ভারত সরকার। এতে ‘হাইব্রিড’ মডেলে হচ্ছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালের অনেকটা কাছেই রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। এতে তিন পয়েন্ট নিয়ে লড়াইয়ে আছে তারা। শেষ ম্যাচে জয় পেলে সেমিফাইনালে ভারতই প্রতিপক্ষ হতে পারে তাদের। অথবা ম্যাচটি হারলেও পরবর্তী পর্বে যেতে পারে তারা; তবে এতে অন্য ম্যাচের সমীকরণ মেলাতে হবে তাদের।
প্রোটিয়ারা যদি কোয়ালিফাই করে। সেক্ষেত্রে সেমিফাইনাল খেলতে তাদের যেতে হবে দুবাইয়ে। অথচ তারা ত্রিদেশীয় সিরিজও পাকিস্তানে খেলেছে। লম্বা সময় ধরে আছে এই দেশে। হুট করে অন্য দেশে সফর এবং দেশটির আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া অত সহজ না হওয়ারও কথা। কিন্তু ভারত থেকে যাচ্ছে একই দেশে। তাইতো তাদের সুবিধা নিয়ে কথা বললেন ফন ডার ডাসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার বলেন, ‘এটা বাড়তি সুবিধা। আমি দেখেছি যে, পাকিস্তানও এটা নিয়ে কথা বলেছে। তবে এটা বাড়তি সুবিধাই (ভারতের জন্য)। যদি একটি জায়গাতেই থাকা যায়, এক হোটেল থেকে নড়তে না হয়, একই সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অনুশীলন করা যায়, একই মাঠে, একই উইকেটে সব ম্যাচ খেলা যায়, অবশ্যই সেটি বড় সুবিধা। এটা বোঝার জন্য আমার রকেট সাইন্স প্রয়োজন নেই। ’
তবে এসব কারণে সেমি-ফাইনালে ভারতের ওপর প্রত্যাশার চাপ বেশি থাকবে বলে মনে করেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। তিনি বরেন, ‘সেই বাড়তি সুবিধা কাজে লাগানোর দায়িত্বও তাদের। সেদিক থেকে, এটা তাদের ওপর বাড়তি চাপও। কারণ, সেমি-ফাইনালে বা ফাইনালেও যদি তারা ওঠে, যাদের সঙ্গে খেলা হবে, তাদের জন্য কন্ডিশন হবে অচেনা, কিন্তু ভারত সেখানে থাকবে অভ্যস্ত। সবকিছু ঠিকঠাক করার চাপ তাদের ওপরই থাকবে, কারণ সবটুকু ধারণাই আছে তাদের। ’
এর আগে ভারতের এই সুবিধার ব্যাপারে কথা বলেছেন বর্তমান-সাবেকসহ বিভিন্ন দেশের অনেক ক্রিকেটাররা। ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা পাবে পাকিস্তানও। এই চক্রে ভারতে অনুষ্ঠিত আইসিসি ইভেন্টগুলোতে নিরপেক্ষ দেশে খেলবে বাবর আজমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫
আরইউ