ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত শ্রীমঙ্গলে

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে মাঘের বৃষ্টি। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: চায়ের শহর শ্রীমঙ্গলে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বৃষ্টির ক্রমাগত ধারা জনজীবনে নিয়ে এসেছে শীতজনিত দুর্ভোগ।

কনকনে ঠাণ্ডায় এখানকার নাগরিক জীবন চরম আকার ধারণ করেছে।

তবে মাঘ মাসের মাঝামাঝির এ বৃষ্টিপাতকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন চা বিশেষজ্ঞরা। এ বৃষ্টিপাত চা শিল্পের জন্য প্রাকৃতিক উপহার।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সারাদেশের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীমঙ্গলেই দেশের সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ মিলিমিটার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মাদারীপুর, সেখানে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরপর ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নিকলীতে। আর সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩ মিলিমিটার।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়াতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী মো. মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার বিকেল ৩টা ১৮ মিনিট থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টিপাতের ধারাবাহিকতা আগামী দু’দিন থাকবে। তারপরে কনকনে ঠাণ্ডার সঙ্গে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

নাহার চা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার পীযুষ ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের চা বাগানের রেকর্ড অনুযায়ী বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আমরা বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণকে সবসময় ইঞ্চিতে মেপে থাকি। চা বাগানে এখন প্রুনিং (চা গাছ ছাঁটাই) শেষের দিকে। এ বৃষ্টিপাত প্রুনিংকৃত গাছগুলোর জন্য অনেক উপকার হবে। ছাঁটাইকৃত চা গাছগুলোতে কুঁড়ি ছাড়বে অপেক্ষাকৃত তাড়াতাড়ি। ’ 

তিনি বলেন, আমরা চা বাগানে ইরিগেশন (সেচ) দিয়ে আমাদের ইয়াং টি (কম বয়েসী চা গাছ) বাঁচিয়ে রাখি। এ বৃষ্টিপাত প্রাকৃতিক ইরিগেশন হয়ে দারুণ কাজ করবে। আমরা প্রতি বছর মার্চের মাঝামাঝি বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফ্যাক্টরি (কারখানা) স্টার্ট (চালু) করে থাকি। এমন বৃষ্টিপাত আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকলেই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই আমরা ফ্যাক্টরি স্টার্ট করতে করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
বিবিবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।