পঞ্চগড়: পৌষের আগেই দেশের উত্তরের জেলায় জেঁকে বসেছে কনকনে শীত জেলার তাপমাত্রা পারদ নামল ১০ ডিগ্রির ঘরে। তবে সকাল থেকেই সূর্য আলো ছড়াচ্ছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, শনিবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষ আর মাঘ মাসে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে এখানে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পৌষ মাস না পড়তেই ঠান্ডায় জমে যাওয়ার অবস্থা অনুভূত। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে।
এদিকে, হিমেল বাতাসের কারণে সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে। কষ্টে পড়ছেন পাথর, চা, রিকশা ভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশাভ্যানে উঠতে চায় না। এতে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের।
অন্যদিকে, হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস ও শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে আকাশ পরিষ্কার থাকায় পৃথিবীর তৃতীয় ও হিমালয়ের দ্বিতীয় পর্বতমালা কাঞ্চনজঙ্ঘা দৃশ্যমান স্পষ্টভাবে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ভোরে ভিড় জমিয়েছেন শতশত পর্যটকরা। পাশাপাশি শীতও উপভোগ করছেন তারা।
বেশ কয়েকজন পর্যটক জানিয়েছেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা দারুণ উপভোগ করছি। একদিকে বরফের পাহাড়, একই সঙ্গে শীত দুটোই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
এসএএইচ