ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

তাপমাত্রা বাড়লেও মেঘ-সূর্যের লুকোচুরি রাজশাহীতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
তাপমাত্রা বাড়লেও মেঘ-সূর্যের লুকোচুরি রাজশাহীতে মেঘ-সূর্যের লুকোচুরি। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ শনিবার (১৫ জানুয়রি) মাঘ মাসের পহেলা দিন। সেই হিসেবে কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে থাকার কথা মানুষ ও প্রকৃতি।

কিন্তু আজ আদত সেই অবস্থা নেই। বরং গতকালের চেয়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। কিন্তু আকাশের মন এখনও খারাপ। একদিন পর সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তার দর্শন স্থায়ী হচ্ছে না। সূর্যকে বারবার ঢেকে ফেলায় এই ভর দুপুরকেও সন্ধ্যা মনে হচ্ছে কখনও কখনও।

শনিবার সকাল থেকেই এই মেঘ আর সূর্যের লুকোচুরি চলছে নীল আকাশের বুকে। তাই কখনও নীল কখনও ধূসর হয়ে উঠছে আকাশের রং। এর প্রভাব পড়ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়ও। এজন্য মাঘের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা না থাকলেও শীত অনভূত হচ্ছে পদ্মা ঘেঁষা এই শহরে।

এর আগের দিন শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) কেটেছে সূর্যহীন। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় মুড়ি দিয়ে ছিল রাজশাহী। এরপর ঘনকুয়াশা মাড়িয়ে বেলা গড়িয়ে দিনের উজ্জ্বলতা ফিরলেও শেষ পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। সারা দিন মেঘাচ্ছন্ন আবহওয়ার কারণে শীতের পোশাক পরেই সাধারণ মানুষকে চলাফেরা করতে হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক এএফএম রেজওয়ানুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে সূর্যোদয় হলেও ঘন কুয়াশা ও মেঘাছন্ন আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আর সারা দিন মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া ছিল। এছাড়া সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন তামপাত্রার ব্যবধানও গতকাল কম ছিল যে কারণ শীত অনুভূত হয়েছে।  শুক্রবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  আর আজ শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে গতকালের চেয়ে আজ তাপমাত্রা ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু দুপুরের আকাশে এখনও মেঘ রেয়ছে। তাই উষ্ণতার অনুভব কম শীতের অনুভবই বেশি বলে উল্লেখ করেন- রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের এই কর্মকর্তা।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আজ ২৪ ঘণ্টার এক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এজন্য আবহাওয়া আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দুই- এক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।