ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

বগুড়া ফাউন্ড্রি: কড়াই বানানো দিয়ে শুরু

পণ্যমান ভারত-চীনের চেয়ে উন্নত, তবে সরকার...

আহ্সান কবীর ও টিএম মামুন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১১
পণ্যমান ভারত-চীনের চেয়ে উন্নত, তবে সরকার...

বগুড়া: সরকারের আশ্চর্য রকমের অবহেলা ঔদাসীন্য আর অসহযোগিতার কারণে বগুড়ার সম্ভাবনাময় ফাউন্ড্রি (ঢালাই) শিল্প ক্রমশ স্থবিরতায় আক্রান্ত হতে চলেছে।

অথচ দেশে ব্যবহৃত শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ কৃষি যন্ত্রাংশের যোগান দেয় বগুড়ার ফাউন্ড্রি ও মেটাল শিল্প থেকে।

কমপক্ষে ২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এবং ৫ লাখেরও বেশি পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে এ শিল্প থেকে। এখানে উৎপন্ন মানসম্পন্ন ১৬ ধরণের যন্ত্রাংশের মধ্যে সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প আন্তর্জাতিক বাজার দখল করেছে।

আরেক হিসেবে জানা গেছে, দেশের শতকরা ৯০ ভাগ সেচ পাম্প সরবরাহ হয় এখান থেকে। গুণগত মানের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বগুড়া ফাউন্ড্রির তৈরি পণ্যের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।

কড়াই দিয়ে যাত্রা শুরু...
আশির দশকে ব্যাপক প্রসার ঘটা বগুড়ার ঢালাই কারখানা এখন ফাউন্ড্রি ও মেটাল শিল্প হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। এ শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল কাস্ট আয়রন (ঢালাই লোহা) গলিয়ে ছাঁচে ফেলে রান্নার কড়াই তৈরি থেকে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের মেশিনারি যন্ত্রাংশ তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়েছে এ শিল্পের কারিগররা। একের পর এক নতুন নতুন আর জটিল যন্ত্রাংশ তৈরিতে সাফল্য দেখাচ্ছেন তারা।

উল্লেখ্য, বগুড়ার বিসিক এলাকার প্রধান ২৭টি ফাউন্ড্রি-মেটাল কারখানায় এসব যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে।

বগুড়ার সুদক্ষ ফাউন্ড্রি কারিগররা অয়েল মিল, ফ্লাওয়ার মিল ও পাওয়ার টিলারের বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রাংশ এবং টিউবওয়েল, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত পাম্প ও লাইনারসহ প্রায় সব ধরণের মেশিনারির যন্ত্রাংশ তৈরি করছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তৈরি সেচপাম্প ও কৃষি যন্ত্রপাতি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারেন যা দেশের উন্নয়নের গতিকে বেগবান করবে।  

কিন্তু এ শিল্পের আধুনিকায়ন ও উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রাংশ বিদেশে রপ্তানিতে বিরাজমান সমস্যা নিরসনে প্রশাসন, শিল্প মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একে অন্যকে ঠেলাঠেলি আর রশি টানাটানির ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতির জন্য অতি সম্ভাবনাময় এ শিল্পের ভবিষ্যৎ যে তিমিরে ছিল এখনও সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।

এ শিল্পে জড়িত ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী আর কর্মীরা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় অন্তত এরকম ধারণাই পোষণ করছেন।  

৩১ শতাংশ ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়, তবে...
সভা-সেমিনারে দেওয়া নেতা-নেত্রী আর কর্তা ব্যক্তিদের ফাঁকা বুলিতে মনে হতে পারে এই শিল্পে এবার বুঝি সুদিন শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে ব্যাংক ছাড়া কেউ বগুড়ার ফাউন্ড্রি শিল্পকে কোনও সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেন শিল্প মালিকরা।

বাংলাদেশ ফাউন্ড্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশেনের (এফওএবি) সভাপতি ও গুঞ্জন মেটাল ওয়ার্কস এর স্বত্বাধিকারী বগুড়ার আইনুল হক সোহেল বাংলানিউজকে জানান, এ শিল্প এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তারা ফাউন্ড্রি ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ পরিমাণ এসএমই ঋন দেবার সদিচ্ছাও প্রকাশ করেছে বলে জানান আইনুল হক।
   
কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোভাব রীতিমত হতাশাজনক।

বিশেষ করে কাঁচামাল (Raw Material) আমদানীর ক্ষেত্রে অহেতুক অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনুল হক জানান, এমনটা করলে বাংলাদেশে ফাউন্ড্রি শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

লোহা জাতীয় দ্রব্য এই শিল্পের প্রাণ উল্লেখ করে তিনি জানান, পাশের দেশ ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গেলে দু’টি মৌলিক কাঁচামাল (Basic Raw Material) যেমন- পিগ আয়রন (Pig Iron) ও ‘হার্ড কোক’ (Hard Coke) এর ওপর ট্যাক্স দ্রুত কমানো উচিত। তার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, এ শিল্পখাতে ভ্যাট ও অন্যান্য ট্যাক্স বাবদ সরকারকে ৩১ শতাংশ ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয় তাদের।

এ নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন মহলে দীর্ঘদিন ধরে দেন-দরবার চালিয়ে আসলেও কেউ এগিয়ে আসছেন না সমস্যা সমাধানে।

সোহেল জানান, সম্প্রতি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বগুড়া-১ আসনের সাংসদ আব্দুল মান্নান বিষয়টির দ্রুত সমাধান করার জন্য শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়–য়াকে অনুরোধ জানান। এর আগে গত বছর বগুড়া-৫ আসনের  সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান বিসিক শিল্প নগরীতে এসে ফাউন্ড্রি শিল্প উদ্যোক্তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং সে মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করানোসহ জাতীয় সংসদে ৭১ বিধিতে বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

কিন্তু কারও কথাই কার্যে পরিণত হয়নি।

জাপানসহ ও ইউরোপিয় বাজারের হাতছানি
সোহেল আরো জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারলে জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ফাউন্ড্রি পণ্যের বাজার খুলে যাবে। এসব দেশ ও অঞ্চলে আমাদের ঢালাই শিল্পজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

ফাউন্ড্রি শিল্প মালিকরা মনে করেন, এজন্য প্রয়োজন সরকার ও নীতি নির্ধারক মহলের সচেতন ও আদর্শ অভিভাবকসুলভ আচরণ। যাতে করে ডিউটি ফ্রি কাঁচামাল আমদানি করে এবং ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে এ শিল্পের প্রসার ঘটানো যায়।

এছাড়াও ফাউন্ড্রি মালিক-শ্রমিকরা চান, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মেলাতে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে এ শিল্পে জড়িত মালিক ও শ্রমিকদের পৃথক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হোক।    

ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর বগুড়া পর্যটন মোটেলে কৃষি যন্ত্রাংশ প্রযুক্তির দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে বাংলাদেশে এ শিল্পের বিকাশ ঘটাতে ব্যাংক ঋণ সহজলভ্য করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়–য়া।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শিল্প উদ্যোক্তারা কোনও ব্যাংক থেকে ঋণ সহযোগিতা চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ঋণ দেবার জন্য তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দিয়ে থাকে।

তবে বাস্তবে সেসব নির্দেশ পালন হতেও অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়।

সম্ভাবনাময় ফাউন্ড্রি শিল্পের হতাশাজনক পশ্চাদমুখীনতা বিষয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বগুড়া অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক আলতাফ হোসেন  বাংলানিউজকে জানান, তারা শুধুমাত্র এ সংক্রান্ত লাইসেন্স অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে থাকেন। অন্যান্য পলিসির ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই। এ শিল্প সম্পর্কে দরকারি যা কিছু করার বাংলাদেশ সরকারের আমদানি-রপ্তানি অধিদপ্তরই করে থাকে।

তিনি এরশাদ সরকারের সময় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত মালিকরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছেন উল্লেখ করে জানান, ২০০০ সালের শিল্পনীতিতে ১০ শতাংশের বেশি ট্যাক্স দিতে হতো না। কিন্তুু ২০১০ সালের শিল্পনীতিতে আগের সুবিধাগুলো তুলে দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া বহির্বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা করতে হলে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে আইএসও (ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং অরগানাইজেশন) এর মতো সংগঠনের কার্যক্রম খুবই জরুরি বলেও জানান তিনি। তারমতে, কোয়ালিটি উন্নত বা নিশ্চিত করতে হলে সরকার ও নীতি নির্ধারকদের দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে।     

বগুড়া ফাউন্ড্রি শিল্পের আরেক সফল ব্যবসায়ী ও সংগঠনের সহ-সভাপতি আলমদিনা মেটাল এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালেক জানান, এ দেশের মানুষ আগে জার্মানির মিল্লাত কোম্পানির তৈরি পাম্প ব্যবহার করতো। যার মূল্য ছিল ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। অথচ বগুড়ার তৈরি একই জিনিষ প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে মাত্র দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকায়।

পণ্যমান ভারত-চীনের চেয়ে উন্নত
তিনি জানান, দেশের কৃষি যন্ত্রাংশের শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগই আসে বগুড়ার ফাউন্ড্রি ও মেটাল শিল্প থেকে। এ শিল্পের উৎপাদিত সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প ভারত ও চীনের তৈরি পাম্পের চেয়ে অনেক উন্নত বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি জানান, গত তিন বছরে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার পর বগুড়ায় ফাউন্ড্রি শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা অনেক বেড়েছে। আগে বগুড়ায় উৎপাদিত উন্নতমানের সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প অবৈধভাবে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে চলে যেতো। সরকারিভাবে উদ্যোগ নেবার পর এখন বৈধ পথে ভারতে পাম্প রফতানির ফলে শিল্পমালিকরা আগের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে।

বগুড়ার হক মেটাল ইন্ডাস্ট্রির স্বত্বাধিকারী কামাল পাশা ও মিল্টন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী আজিজার রহমান মিল্টন জানান, সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প রপ্তানি আগের চেয়ে বেড়েছে এবং গণমাধ্যমে প্রচারের পর দেশের ভেতরের চাহিদাও আগের চেয়ে অনেকগুন বেড়েছে। তারা জানান, কমপক্ষে ২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এবং ৫ লাখ পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে বগুড়ার ফাউন্ড্রি ও মেটাল শিল্পের মাধ্যমে। এছাড়া এখানে উৎপাদিত ১৬ ধরণের যন্ত্রাংশের মধ্যে সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প আন্তর্জাতিক বাজার দখল করেছে।

সংগঠনের আরেক সহ সভাপতি ও রিয়াল মেটাল এর স্বত্বাধিকারী তৌহিদ জানান, রান্নার কড়াই তৈরি থেকে শুরুর পর আশির দশক থেকে এখানকার মেধাবী কারিগররা দেশের প্রয়োজনীয় সব ধরনের মেশিনারীর খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছেন। তারা লেদ মেশিন ছাড়াও তৈরি করছেন চিড়া তৈরির কল, গ্রাইন্ডিং মেশিন।

এছাড়া মোটরগাড়ির উন্নতমানের স্প্রিং, ব্রেকড্রাম, টেক্সটাইল মিলের যন্ত্রাংশ, জুট মিলের যন্ত্রাংশ এবং জাহাজের যন্ত্রাংশও তৈরি হচ্ছে। এসব যন্ত্রাংশ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। তাছাড়া বেশ কিছুদিন যাবৎ গার্মেন্টস-এর অতি প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রাংশের উৎপাদনও করা হচ্ছে এখানে।
 
গার্মেন্ট শিল্পের চেয়ে ট্যাক্স বেশি আসে, সরকার তারপরও...
কেবলমাত্র বগুড়ার বিসিক এলাকায় বছরে গড়ে ৪শ’ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার ফাউন্ড্রি শিল্প মালিকরা।

ফাউন্ড্রি মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, যে গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে সরকার এত বেশি মাতামাতি করছেন, ফাউন্ড্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িত মালিকরা তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি ট্যাক্স প্রদান করলেও তাদের নিয়ে সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই।

দেশের ৫ লাখেরও বেশি পরিবারের রুটি-রুজির উৎস ফাউন্ড্রি শিল্পকে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হলে সরকারের উচিত দ্রুত এ শিল্পের সমস্যগুলোর দিকে নজর দেওয়া।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়–য়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনও মন্তব্য না করে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

তবে গত বছর বগুড়া পর্যটন মোটেলে কৃষি যন্ত্রাংশ প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে এ শিল্পকে সহযোগিতার বিষয়ে তার দেওয়া ঘোষণার বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে বারবার প্রশ্ন করলে তিনি শুধু বলেন, ‘সরকারের ট্যাক্স পলিসি অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। ’

কিন্তু কী ব্যবস্থা তারা নেবেন, তা তিনি বলেননি। কবে নেবেন তাও বলেননি।

‘দেশের সম্ভাবনাময় সবগুলো ক্ষেত্রেরই এ অবস্থা। সবাই পলিসি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন! তবে বাস্তবে তার সুফল আসে না’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফাউন্ড্রি ব্যবসায়ীর মন্তব্য এটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ১২ মে, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।