ঢাকা, বুধবার, ১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

ইসলাম

রমজানে ওমরাহ পালনে হজের সমতুল্য সওয়াব

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
রমজানে ওমরাহ পালনে হজের সমতুল্য সওয়াব

হজ ও ওমরাহ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। বিভিন্ন হাদিসে হজ-ওমরাহর বিপুল সওয়াবের কথা এসেছে।

এ ২ ইবাদতের সওয়াব ও ফজিলত অপরিসীম। হজের সময় নির্ধারিত হলেও ওমরাহ বছরের যেকোনো সময় আদায় করা যায় এবং হজের তুলনায় ওমরাহ সহজ আমল।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, ‘এক ওমরার পর আরেক ওমরাহ— উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহর) জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর জান্নাতই হলো কবুল হজের প্রতিদান’। (বুখারি, হাদিস: ১৭৭৩)

আর তাই সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ করা উচিত। এছাড়াও অধিক ওমরাহ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার রিজিকে বরকত দেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসে বলেন, ‘তোমরা ধারাবাহিক হজ ও ওমরাহ আদায় করতে থাকো। এ ২টি আমল দারিদ্র্য ও গুনাহ বিদূরিত করে দেয়। যেমন—ভাটার আগুনে লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা-জং দূরীভূত হয়ে থাকে’। (তিরমিজি, হাদিস: ৮১০)

পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ পালন করলে হজের সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। এ জন্য যাদের সুযোগ ও সামর্থ্য রয়েছে, তারা সম্ভব হলে রমজানে পবিত্র ওমরাহ পালন করা উচিত। এতে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও ইবাদত সুন্দরভাবে পালনের পাশাপাশি বিপুল সওয়াব লাভও হবে।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) এক আনসারি নারীকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের’? ইবনে আব্বাস (রা.) নারীর নাম বলেছিলেন; কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি। ঐ নারী বলল, ‘আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল; কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (অর্থাৎ নারীর স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছেন। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যার দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি’। নবী (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা, রমজান এলে তখন ওমরাহ করে নিয়ো। কেননা রমজানের একটি ওমরাহ একটি হজের সমতুল্য’। (বুখারি, হাদিস: ১৭৮২)

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।