ঢাকা, বুধবার, ১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

ক্রিকেট

নিজের জন্মদিনে উপহার হিসেবে বন্ধু তামিমের জন্য দোয়া চাইলেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৫
নিজের জন্মদিনে উপহার হিসেবে বন্ধু তামিমের জন্য দোয়া চাইলেন সাকিব সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল, ফাইল ফটো

আজ সাকিব আল হাসানের ৩৮তম জন্মদিন। কিন্তু এমন দিনে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছেন তিনি।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন তার একসময়ের প্রিয় বন্ধু ও দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম ইকবাল।  

আজ খেলার মাঠেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তামিমের। পরে এনজিওগ্রাম শেষে হার্টে রিং পরানো হয়েছে দেশসেরা ওপেনারের। একসময় যে 'এক দেহ এক প্রাণ ছিল', সেই সতীর্থের এমন মুমূর্ষু অবস্থায় চুপ থাকতে পারেননি সাকিব। অতীত তিক্ততা ভুলে তামিমের জন্য দোয়া চেয়েছেন সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।  

আগেই একবার এক গণমাধ্যমকে ভিডিওবার্তায় তামিমের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি। এবার নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাকিব লিখেছেন, 'আজ আমার জন্য বিশেষ দিন, কিন্তু মনটা পুরোপুরি আনন্দে নেই, কারণ আমার প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধু তামিম ইকবাল অসুস্থ। মাঠে আমরা একসঙ্গে অনেক লড়াই করেছি, অনেক স্মৃতি রয়েছে, আর সবসময় চাইব আমাদের এই পথচলা আরও দীর্ঘ হোক।

তামিম, তুমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় শক্তি। তোমার দ্রুত সুস্থতা ও মাঠে ফিরে আসার জন্য দোয়া করছি। ইনশাআল্লাহ, তুমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।

তামিমের জন্য আপনার দোয়াই হবে, আমার জন্মদিনের সেরা উপহার । দোয়া করবেন—আমার ভাই তামিম যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরতে পারে!'
আজ সকালের দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে আজ মাঠে নেমেছিলেন তামিম। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলা শুরুর আগে নির্ধারিত সময়ে টসও করেছেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু পরে আর ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি তিনি। খেলা শুরুর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করায় বিকেএসপির কাছেই বেগম ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এনজিওগ্রাম করে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তামিম। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। হাসপাতাল থেকে তামিমকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করা হয় হেলিকপ্টার যোগে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তা করা যায়নি। হার্ট অ্যাটাকের পর তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছিল। হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। যে কারণে তাকে ২২ মিনিট ধরে সিপিআর এবং ৩ বার ডিসি শক দিতে হয়েছে। তামিম যে পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তার ফেরার সম্ভাবনা ছিল একেবারেই ক্ষীণ। খুব কম রোগীই সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেন। এ পরে ওই হাসপাতালেই তার হার্টে রিং পরানো হয়। স্বস্তির কথা হচ্ছে, হার্টে রিং পরানোর পর তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। জ্ঞান ফিরেছে তার। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। তবে এখন তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫ 
এমএইচএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।