একপ্রকার মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছেন তামিম ইকবাল। হার্ট অ্যাটাক করার পর অনেকটা সময় পালস পাওয়া যাচ্ছিল না তার।
তবে এখনই হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরতে পারবেন না তামিম। শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য আরো ৪৮ ঘণ্টা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে থাকতে হবে সাবেক অধিনায়ককে। দেশসেরা ওপেনারের সুস্থতার জন্য দেশ ও বিদেশের অনেকেই প্রার্থনা করছেন।
তামিমের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। তাকে দেখতে বিসিবি কর্মকর্তাদের অনেকেই ছুটে গেছেন সাভারের ওই হাসপাতালে। তাদের সঙ্গে গেছেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদও। তামিমের চিকিৎসায় তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ায় চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পরে এক বিবৃতিতে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় সকল চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তামিমকে নিয়ে এমন উদ্বেগই প্রমাণ করে জাতি তাকে কতটা ভালোবাসে। তামিমের আপডেট জানতে প্রধান উপদেষ্টার অফিস, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছে। ’
তামিমের চিকিৎসায় সবধরনের সহায়তার প্রস্তুত বিসিবি, এমনটাই জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। তিনি বলেন, ‘তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিসিবি সব সময় মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সব রকমের সহায়তা করবে বোর্ড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’
এর আগে আজ সকালের দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে আজ মাঠে নেমেছিলেন তামিম। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলা শুরুর আগে নির্ধারিত সময়ে টসও করেছেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু পরে আর ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি তিনি।
খেলা শুরুর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করায় বিকেএসপির কাছেই বেগম ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এনজিওগ্রাম করে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তামিম। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। হাসপাতাল থেকে তামিমকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করা হয় হেলিকপ্টার যোগে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তা করা যায়নি।
স্ট্রোক করার পর তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছিল। হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। যে কারণে তাকে ২২ মিনিট ধরে সিপিআর এবং ৩ বার ডিসি শক দিতে হয়েছে। তামিম যে পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তার ফেরার সম্ভাবনা ছিল একেবারেই ক্ষীণ। খুব কম রোগীই সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেন। এ পরে ওই হাসপাতালেই তার হার্টে রিং পরানো হয়।
স্বস্তির কথা হচ্ছে, হার্টে রিং পরানোর পর তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। জ্ঞান ফিরেছে তার। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। তবে এখন তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
এমএইচএম