হার্ট অ্যাটাক করার পর তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছিল। হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
তামিম যে পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তার ফেরার সম্ভাবনা ছিল একেবারেই ক্ষীণ। খুব কম রোগীই সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ক্লাব মোহামেডানের এক কর্মকর্তা। ক্লাবের আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'তামিম আসলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। আল্লাহ্র রহমতে তিনি মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছেন। এভাবে ফিরে আসেন হাজারে একজন। '
এদিকে বিকেএসপির স্বনামধন্য কোচ মন্টু দত্ত অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রেখেছেন। তামিমের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলে হয়ত তামিম ইকবালকে আর ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে না। সে (তামিম ইকবাল) ভর্তি হয়। ডাক্তাররা তাকে ছাড়বে না বলে। সে নিজ থেকেই শিপনকে (মোহামেডান ম্যানেজার) ফোন করে বলে আমার জন্য একটা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করো। আমি ঢাকাতে চলে যাবো। আমাকে শিপন তখন বলে একটা হেলিকপ্টার নামানোর ব্যবস্থা করেন। তখন ১ নম্বর মাঠে হেলিকপ্টার নামানোর ব্যবস্থা করি। ’
হেলিকপ্টারে তোলার সময় তামিমের পালস পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানান মন্টু। তিনি বলেছেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে যাব, কিন্তু তার কোনো পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। দশ মিনিট সেখানে চাপ দেয়ার পর কিছুটা পালস পেলে তাকে আবার কেপিজি হাসপাতালে আনা হয়। তখন ডাক্তার বলছিল, আমরা যদি তামিমকে এয়ারে তুলি, হয়ত আমরা তামিমকে আর ফিরে পাবো না। তারপর এখানে নিয়ে আসার পর তাকে আবার ইমার্জেন্সিতে নেওয়া হয়। তড়িঘড়ি করে অপারেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ব্লক ধরা পড়ে। ’
এর আগে আজ সকালের দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে আজ মাঠে নেমেছিলেন তামিম। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলা শুরুর আগে নির্ধারিত সময়ে টসও করেছেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু পরে আর ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি তিনি।
খেলা শুরুর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করায় বিকেএসপির কাছেই বেগম ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এনজিওগ্রাম করে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তামিম। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। হাসপাতাল থেকে তামিমকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করা হয় হেলিকপ্টার যোগে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তা করা যায়নি। পরে ওই হাসপাতালেই তার হার্টে রিং পরানো হয়।
স্বস্তির কথা হচ্ছে, হার্টে রিং পরানোর পর তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। জ্ঞান ফিরেছে তার। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। তবে এখন তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
এমএইচএম