ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

হাড়বাড়িয়ায় লাল শাপলার মিষ্টি পুকুর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
হাড়বাড়িয়ায় লাল শাপলার মিষ্টি পুকুর হাড়বাড়িয়ায় লাল শাপলার মিষ্টি পুকুর। ছবি: ডিএইচ বাদল ও মানজারুল ইসলাম

হাড়বাড়িয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের ঘাটে লঞ্চ নোঙর ফেলার পর ডানপাশে চোখ মেললেই দেখা যাবে সুন্দরী-গোলপাতা, বামপাশে গেওয়া গাছ। পশুর নদীর কোলঘেঁষা গাছের ডালে ডালে বানরের খেলা।

সুন্দরবন (হাড়বাড়িয়া) থেকে: হাড়বাড়িয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের ঘাটে লঞ্চ নোঙর ফেলার পর ডানপাশে চোখ মেললেই দেখা যাবে সুন্দরী-গোলপাতা, বামপাশে গেওয়া গাছ। পশুর নদীর কোলঘেঁষা গাছের ডালে ডালে বানরের খেলা।


 
এরপর সোজা পথে কয়েকগজ হাঁটলেই পড়বে বন বিভাগের চেক পোস্ট। এখানে জনপ্রতি ৭০ টাকার বিনিময়ে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটি ঘুরে দেখবার সুযোগ দিয়ে থাকে হাড়বাড়িয়া টহল ফাঁড়ি কর্তৃপক্ষ। সোজা রাস্তা ধরে কয়েক গজ হাঁটলেই হাতের ডানে পড়বে একটি মিঠা পানির পুকুর। পুকুরজুড়ে লাল শাপলা। ফুটন্ত শাপলায় মন ভরে যাবে নিশ্চিত। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, কেউ যেনো পানিতে লাল শাপলার পাপড়ি ছিটিয়ে রেখেছে।
 
পুকুর পাড় দিয়ে বয়ে গেছে সুন্দরবনে ঢুকবার ওয়াক ওয়ে। প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটারের ওয়াক ওয়েটি পুকুরের একপাশ দিয়ে শুরু হয়ে বন ঘুরে  অন্যপাশে গিয়ে শেষ হয়েছে।
 
লাল শাপলার পুকুরটি নিজ চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য্য বর্ণনা করা কঠিন। শাপলা ফুল ফোটা পুকুরটি বনের রূপ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। অন্য আর দশজনের মতো পুকুর দেখে মুগ্ধ হলাম আমরাও।
হাড়বাড়িয়ায় লাল শাপলার মিষ্টি পুকুর। বনের কর্মচারী, জনসাধারণ ও বন্য প্রাণীদের জন্য এবং বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামালের স্মরণে ১৯৯৭-৯৮ সালে পুকুরটি খনন করা হয়। এটি পড়েছে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে।
 
লাল শাপলার মুগ্ধতা ছুঁয়েছে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে ঘুরতে আসা পর্যটকদেরও। অনেককেই দেখা যায়, শাপলা ফুলের কাছাকাছি গিয়ে ছবি তুলতে। কেউবা আবার শুধু শাপলা ক্যামেরাবন্দি করছেন মনের আনন্দে। বনের ভেতর ঢোকার আগে লাল শাপলার পুকুরটি যে সবার ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে, সেটি আলাদা করে বলাই যায়।
 
ওয়াক ওয়ে দিয়ে হাঁটার সময় কথা হয় সুইজারল্যান্ডের নাগরিক সুজানের সঙ্গে। তার ভাষায়, সুন্দরবন ‘বিউটিফুল’। বিশেষ করে এই লাল শাপলার পুকুরটি তাকে মু্গ্ধ করেছে।
 
ঝিনাইদহ থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মামুন। তিনি জানান, সুন্দরবনের ভেতর লাল শাপলার পুকুর দেখতে পাবো ভাবতেই পারিনি। খুবই সুন্দর লেগেছে।
 
পরিকল্পনা কমিশনের তৎকালীন সচিব ড. শাহ মুহাম্মদ ফরিদের উদ্যেগে কাটা হয় পুকুরটি। তবে সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে পুকুরের সৌন্দর্য্য ম্লান হতে চলেছে।
হাড়বাড়িয়ায় লাল শাপলার মিষ্টি পুকুর। পুকুরের মাঝে একটি গোল ঘর রয়েছে। সাধারণত পর্যটকরা ওই গোল ঘরে গিয়ে পুকুরের মাছ, শাপলা ও অন্যান্য সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন। কিন্তু গোল ঘরে যাওয়ার জন্য যে কাঠের সেতু করা হয়েছিল, সেটি এখন ভেঙে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া জঙ্গল ভরে গেছে পুকুরের চারদিকে।
সহযোগিতায়
আর পড়ুন...

** সরু হয়ে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা
** মধুমতিতে আয়েশি ভ্রমণ

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এসএম/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ