ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

ছবির মতো লংগদু-১: ‘দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া...’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
ছবির মতো লংগদু-১: ‘দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া...’ ছবি: আসিফ আজিজ-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লংগদু, রাঙামাটি ঘুরে: পৃথিবীর কিছু কিছু জায়গার সৌন্দর্য বর্ণনায় উপমা আসে শুধুই ‘ছবির মতো সুন্দর’ কিংবা যেন ‘ভিউকার্ড’! সত্যি এমন একটি জায়গা রাঙামাটির উত্তরের জলঘেরা উপজেলা লংগদু। বাংলার ভূ-স্বর্গের অনেক ‘চক্ষু মেলিয়া’ না দেখা জায়গার একটি ৭১০ বর্গকিলোমিটারের কাপ্তাই লেকের নীল জলপথের এ উপজেলা।

ছবিতে দেখে নেওয়া যাক ‘দুর্গম’ আখ্যা দিয়ে অপার সম্ভাবনার পর্যটন থেকে পিছিয়ে রাখা লংগদুর জলপথ।


রাঙামাটি সদর থেকে লংগদু পর্যন্ত সড়কপথে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সড়কপথ ব্যবহার করতে হলে যেতে হবে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা হয়ে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় বিরতিহীন স্টিমারযোগে ১৪৫ টাকা ভাড়ায় রিজার্ভবাজার ঘাট থেকে সকালের মিষ্টি আলোয় রওয়ানা দেওয়া যায় লংগদুর পথে। সময় লাগে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা।


শীলছড়ির নির্বাণনগর বৌদ্ধবিহার। পানিবেষ্টিত পাহাড়ের চূড়ায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গৌতম বুদ্ধের সৌম্য সোনালি ভাস্কর্য। বরকল উপজেলার ঠিক আগে এর অবস্থান।


বাঁপাশের এ পাহাড় থেকেই শুরু দুর্গম বরকল উপজেলার সীমানা। এখানেই স্বাগত জানাবে বরকল। একটু পরেই শুভলং ঝরনা। এই বরকল চ্যানেল থেকেই লেকের প্রকৃত সৌন্দর্য মেলেছে ডানা।


জারুলছড়ি পেরিয়ে শুভলংয়ের পথে। উঁচু সবুজ এ পাহাড়ের বাঁক পেরুলেই রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ শুভলং ঝরনা। যদিও বছরের অধিকাংশ সময় ঝরনায় পানি থাকে না।


বান্দরবান-রাঙামাটির অধিকাংশ পাহাড় মাটির। পাথুরে পাহাড় দেখা মেলে খুবই কম। শুভলংয়ের কিছু এলাকায় দেখা মিলবে পাথুরে পাহাড়ের। নৌকা, স্টিমার, ট্রলারই প্রধান বাহন এ জলপথের।


শুভলং বাজারের শেষ প্রান্তে ধনা মিয়া ফকিরের মাজার। বড় ওরশ হয় এখানে। এই চ্যানেল দিয়েই শুরু লংগদু যাওয়ার মূল পথ।


লংগদু মানেই নীল জলরাশি। নীলাকাশের নিচে নীল জলরাশির মাঝে জেগে আছে সবুজ সব ছোট্ট দ্বীপ। এগুলোতে আবার বসতিও গড়ে উঠেছে।


লেকঘেঁষে পাহাড়ের কোলে ৯ নম্বর হাজাছড়া ইউনিয়ন। লোকাল ট্রলার ও স্টিমারগুলো ভেড়ে এ ঘাটে।


ছবিটি কাট্টলি বিলের আগে থেকে তোলা। তবে বিল এলাকার মাছ ধরার চিত্র শুরু হয়েছে আগেই। জেলে নৌকাগুলো যাচ্ছে মাছ ধরতে। একটু দূরে দেখা যাচ্ছে জাল ফেলা অথবা ছিপ দিয়ে মাছ ধরার মাচা।


পাহাড়ের অন্যতম সম্পদ বাঁশ। বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারে না পাহাড়িরা। সড়কপথে বহনের সুযোগ নেই। তাই বিশাল বাঁশের সারি টেনে নেওয়া হচ্ছে ইঞ্জিন নৌকার সহায়তায়।

আরও পড়ুন:
**
বগালেকের মুগ্ধ গাছ!
**অজগরের মাংস খেতেই জেগে উঠলো বগালেক!
**সাদেকের কমলার জুসে পাহাড় মাড়ানোর ক্লান্তি দূর
**খাবারে পাহাড়ি সাজ-ঐতিহ্যের হলিডে ইন
**পাহাড়ি শিশুর খেলায় প্রাণ যায় মায়াবি পাখির
** পৃথিবীর সেরা পানি আমাদের পাহাড়ে!

** ৩ ঘণ্টার ট্রেইলে ঘেমে-নেয়ে কেওক্রাডংয়ের স্বর্গচূড়ায়
** রাস্তা হলে দেশি পর্যটকই জায়গা পাবে না বগালেকে

** পাহাড়ের ময়না যাচ্ছে পর্যটকের খাঁচায়
** হরেক পদের খাবারে ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’র শুভেচ্ছা
** পাহাড়চূড়ায় চোখের সামনে  রংধনুর ’পর রংধনু (ভিডিওসহ)
** ইউরোপ-আমেরিকাকেও পায়ে ঠেলবে রাঙামাটির লংগদু
** ধসে যাচ্ছে রাঙামাটি শহরের পর্যটন
** রাঙামাটিতে বোটভাড়া নিয়ে ঠকবেন না যদি…
** বিকেলটা কাটুক হেরিটেজ পার্কে
** দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তির দেশে
** পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী সব খাবার ‘সিস্টেমে’
** বাঁশের ভেতর মুরগি, পদের নাম ব্যাম্বো চিকেন
** পাহাড়ের সবুজ মাল্টায় দেশজুড়ে বিপ্লব
** নীলাচলে ভোরের আলোয় মেঘের ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ 

 

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
এএ/জেডএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ