ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

রাঙামাটিতে পাহাড়ি পোশাকের রকমারি পসরা

শামীম হোসেন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
রাঙামাটিতে পাহাড়ি পোশাকের রকমারি পসরা ছবি: শামীম হোসেন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাঙামাটি থেকে ফিরে: পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে রাঙামাটির সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের কাছে কিছুটা ব্যতিক্রম। এখানকার পাহাড়-মেঘ ও লেকের সৌন্দর্যই আকর্ষণের কেন্দ্র।

এসবের পাশাপাশি পর্যটকরা বারবার এখানে ছুটে আসেন স্থানীয় আদিবাসীদের হাতে তৈরি রঙিন পোশাক ও বাহারি পণ্যের খোঁজে।

দেশের সর্ববৃহৎ জেলা রাঙামাটিতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঘিরে তাই গড়ে উঠেছে বিপণি বিতানের সমাহার। বার্মিজ পণ্য ও ‍পাহাড়িদের তৈরি পোশাকের দিকেই পর্যটকদের যত আকর্ষণ। তাদের চাহিদার কথা ভেবেই হরেকরকম বার্মিজ পণ্য ও পাহাড়িদের তাঁতের পোশাক সংগ্রহে রাখেন দোকানিরা।

পার্বত্য এলাকায় আসা পর্যটকদের জন্য নানাবিধ বার্মিজ পণ্য, স্থানীয় আদিবাসীদের হাতে তৈরি পোশাক ও হস্তশিল্পে সাজানো হয় দোকানগুলো।

সারাবছরের পোশাক ছাড়াও শীতকালীন পোশাক তৈরি করেন আদিবাসী তাঁতিরা। ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের শাল, থ্রি-পিস, মাফলার, ফতুয়া, বাচ্চাদের বিভিন্ন স্টাইলের জামাকাপড়ের ছড়াছড়ি বার্মিজ দোকানগুলোতে। এছাড়া রয়েছে হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ ও খেলনা।

অফ সিজনে বেচা-বিক্রি খুব একটা ভালো না হলেও পর্যটক মৌসুমে তা পুষিয়ে নেন ব্যবসায়ীরা। রাঙামাটি শহর থেকে ঝুলন্ত সেতুর দিকে যাওয়ার পথে বেশ কয়েটি দোকান চোখে পড়ে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে এসব দোকান। পর্যটক মৌসুমে রাত ১০টা পর্যন্তও খোলা রাখা হয় দোকানগুলো।
 
রিতা চাকমা নামে এক দোকানি জানান, এখানকার প্রতিটি দোকানেরই নিজস্ব কিছু পণ্য রয়েছে। সেগুলো তারা নিজেরা তৈরি করে। শহরের আসাম বস্তি এলাকায় তন্তুস টেক্সটাইল নামে দোকানি রিতা চাকমাদের কারখানা রয়েছে বলেও জানান তিনি।  

এসব মার্কেটে প্রতিটা হাফ ফতুয়া ৪১০ থেকে ৪৬০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হয়। ফুলহাতা ফতুয়া ৬০০ টাকা থেকে শুরু। চাদর ১৩৫০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়। তবে আরও দামি চাদরও পাওয়া যায় এসব দোকানে। এছাড়াও বিভিন্ন ডিজাইনের নকশীকাথা রয়েছে দোকানগুলোতে। যার দাম পড়বে ১৬০০ থেকে ২২শ’ টাকার মধ্যে।

বার্মিজ মার্কেটগুলোতে পাহাড়িদের উৎপাদিত পণ্য ছাড়াও কক্সবাজার, মায়ানমার থেকে পণ্য আসে। অফ সিজনে বাড়তি বিক্রির আশায় কাপড়ের ভিন্নতা ভেদে মূল্য ছাড়ও দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
এসএইচ/এমজেএফ/জেডএম

**দুই হাজার ফুট উঁচুতে যাত্রী ছাউনি!
** আকাশছোঁয়া পাহাড়ি পথে রুমা
** লেকের দু’ধারে প্রকৃতির সঙ্গে রোমাঞ্চ!
** ঝুলন্ত ব্রিজ পার্কের অব্যবস্থাপনায় বিরক্ত পর্যটক
** মেঘ-পাহাড়ের অকৃপণ সৌন্দর্যের আধার খাগড়াছড়ি
** পর্যটকদের কাছে খাগড়াছড়ির ফল-সবজির কদর
**অনাবিল শান্তি শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ