ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

বিদেশেও আমরা দেশের পর্যটন-সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
বিদেশেও আমরা দেশের পর্যটন-সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে: পুলিশের সদস্যরা পর্যটনের উন্নয়নে দেশেতো কাজ করেনই, জাতিসংঘ মিশনসহ নানা কর্মসূচিতে বিদেশে গেলেও তারা দেশের পর্যটন-সংস্কৃতিকে উপস্থাপন (রিপ্রেজেন্ট) করেন।

এ কথা বলেছেন বান্দরবান জেলা পুলিশের সিনিয়র এএসপি শম্পা রানি সাহা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে ২২ অক্টোবর (শনিবার) বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলানিউজ আয়োজিত বিশেষ আলোচনায় বক্তৃতা করছিলেন তিনি। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

শম্পা রানি সাহা বাংলানিউজের এ আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, পর্যটনের উন্নয়নের জন্য এতোজন মানুষকে এক করতে পেরেছেন, সেজন্য বাংলানিউজকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, পর্যটনকে বলা হয়েছে শিল্প। এই শিল্প কথাটার মধ্যে মাহাত্ম্য রয়েছে। এই শিল্পকে যতো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়, ততো মানুষের মন কাড়ে, ততোই সার্থকতা পায়।

পর্যটনের উন্নয়নে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে জানিয়ে সিনিয়র এএসপি বলেন, পুলিশ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার গুরুদায়িত্বপ্রাপ্ত। বান্দরবান পর্যটন নগরী। এখানে দায়িত্ব পাওয়ার পর তাই পর্যটনের উন্নয়নে এবং পর্যটককে নিরাপত্তা দিতেও কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশে আরও সদস্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শম্পা রানি বলেন, বান্দরবানে মাত্র  ১৩ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছেন। এরইমধ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশে আরও ৩০ সদস্য বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।

শম্পা রানি বলেন, আমরা কেবল এখানে দায়িত্ব পালনেই দায়িত্ব শেষ মনে করি না। নিজেরা ব্যক্তিগত অবস্থান থেকেও ট্যুরিজমকে তুলে ধরার জন্য কাজ করি।  

‘যখন জাতিসংঘ মিশনে গিয়েছিলাম, বিউটিফুল বাংলাদেশ নামে একটি প্রেজেন্টেশন নিয়ে যাই। সেটা আমিই উপস্থাপন করি। অনেকে ওই প্রেজেন্টেশন দেখে বলেছে, ‘হাও বিউটিফুল ইওর কান্ট্রি ইজ, উই জাস্ট কান্ট ইমাজিন’। সেই প্রেজেন্টেশন দেখে অনেকে এসেছেন বাংলাদেশ দেখতে। ’

কেবল তাই নয়, পুলিশ সদস্যরা বাইরে গেলে চলাফেরায়ও নিজ দেশের আচার-সংস্কৃতি তুলে ধরার কাজ করেন বলে জানান শম্পা রানী।

তিনি বলেন, আমি আমার জেলার সাত উপজেলা ভ্রমণ করেছি। যতদূর যাওয়া সম্ভব সেখানে গিয়েছি। দেখেছি পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে নিরলসভাবে কাজ করছেন আমাদের পুলিশ সদস্যরা।

শম্পা রানি পর্যটনের উন্নয়নে স্থানীয় লোকজ ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর উৎসব ও সংস্কৃতি প্রসারের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানকার বিজু ও সাংরাই উৎসবসহ সাংস্কৃতিক উৎসব পর্যটক টানতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

পর্যটনের আরও বিকাশ কামনা করে শম্পা রানি বক্তৃতা শেষ করেন নজরুলসংগীতের সুরে, “বাজাও কি বুনো সুর পাহাড়ি বাঁ‍শিতে?/বনান্ত ছেয়ে যায় বাসন্তী–হাসিতে। / তব কবরী–মূলে/নব এলাচীর ফুল দুলে/কুসুম–বিলাসিনী। ”

দু’দিনের আলোচনাতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলার চেনা-অচেনা স্পট ঘুরে বাংলানিউজ টিমের করা রিপোর্ট মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে উপস্থাপন করেন বাংলানিউজের সিনিয়র আউটপুট এডিটর ও বছর জুড়ে দেশ ঘুরে কর্মসূচির ট্যুর প্ল্যানার জাকারিয়া মন্ডল এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর আসিফ আজিজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লাইফস্টাইল এডিটর শারমীনা ইসলাম। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন চিফ অব করেসপন্ডেন্টস সেরাজুল ইসলাম সিরাজ। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মবিনুল ইসলাম এর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বাংলানিউজের এ উদ্যোগে সহযোগিতা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রশাসন ও ট্রাভেল এজেন্সি ফড়িং।


**বান্দরবানে ট্যুরিস্ট পুলিশ আরও বাড়ছে

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ