ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

ট্যুরিজমে বাংলাদেশকে ‘সিঙ্গেল ডেস্টিনেশন কান্ট্রি’ করতে হবে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
ট্যুরিজমে বাংলাদেশকে ‘সিঙ্গেল ডেস্টিনেশন কান্ট্রি’ করতে হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে: পর্যটনশিল্পকে প্রমোট করলে গার্মেন্টসের পরই এ খাত অন্যতম আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
 
এজন্য বাংলাদেশকে পর্যটনের ক্ষেত্রে ‘সিঙ্গেল ডেস্টিনেশন কান্ট্রি’ বা একক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে তিনি মতামত দেন।

  
 
শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলানিউজের ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: পাহাড়ে পর্যটন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
 
প্রতি বছর ১০ লাখ পর্যটক যেনো বাংলাদেশে আসেন সেই ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এখনও সিঙ্গেল কান্ট্রি ডেসটিনিশেন করতে পারিনি।  এজন্য ট্যুরিস্ট ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। পর্যটন পুলিশ এবং আনুষাঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।
 
পর্যটন বর্ষ-২০১৬ কে সামনে রেখে আহ্বান জানানোর পর ৪২টি জেলা থেকে স্লোগান ও ৩৭ জেলা থেকে লোগো এসেছে বলে জানান তুহিন।  
 
তিনি বলেন, আমরা যতো বেশি পর্যটনকে আকৃষ্ট করতে পারবো, স্পটগুলো সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারবে, ততো বেশি পর্যটক যাবে এবং কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবো।
 
পোশাকখাতের বিভিন্ন উপাদান কিনতে দেশের অর্থ বাইরে চলে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পের আয় দেশেই থেকে যাবে।
 
তুহিন বলেন, এখানে ১২ ভাগ মানুষ পাহাড়ে বসবাস করে, সুপেয় পানির উৎস এ পাহাড়। সেখান থেকে ওষুধের কাঁচামাল আসে। এজন্য আমাদের ইকো ট্যুরিজমের দিকে যেতে হবে।



বাংলানিউজের একদল কর্মী গত ১২ অক্টোবর থেকে তিন পার্বত্য জেলার আনাচে-কানাচে থাকা যে পর্যটন স্পটগুলো তুলে ধরছে তার প্রশংসা করেন মাহবুবুর রহমান। বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে মাইলফলক হয়ে থাকবে বাংলানিউজের পর্যটন বিষয়ক প্রতিবেদনগুলো।   
 
তিনি যোগ করেন, সাংবাদিকরাও পর্যটনের ক্ষেত্রে অ্যাম্বাসেডর হতে পারেন। অ্যাডভেঞ্চার, রিলিজিওন, ন্যাচারাল ট্যুরিজম পর্যটনের নতুন দিক। বান্দরবানে বাংলানিউজের আয়োজন অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের মধ্যে পড়ে। বাংলানিউজের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। এ আয়োজন কালকে ছাড়িয়ে মহাকালে নিয়ে যাবে।
 
বান্দরবানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নীলাচলে খাবার হোটেলের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান মাহবুবুর রহমান। পাশাপাশি হোটেলে ভ্যাট-ট্যাক্সের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পর্যটন করপোরেশনকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বান্দরবান পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
 
আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশের সিনিয়র এএসপি শম্পা রানী সাহা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুজন চৌধুরী, ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক সুহৃদ চাকমা, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মিনু প্রমুখ।
 
এছাড়া ছিলেন জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. কামরান ফারুক, মাসিক চিম্বুকের সম্পাদক বাদশা মিঞা, হলিডে ইন-এর জাকির হোসেন, ট্যুর বাংলাদেশের ডাবলু বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।
 
সরকারঘোষিত ‘পর্যটন বর্ষ-২০১৬’ এর শুরু থেকে বাংলানিউজের ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজার ও বৃহত্তর সিলেটের পর এবার ‘পাহাড়ে পর্যটন’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের  আয়োজন করা হয়।
 
দু’দিনের আলোচনাতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার চেনা-অচেনা স্পট ঘুরে বাংলানিউজ টিমের করা রিপোর্ট মালটিমিডিয়া প্রজেক্টরে উপস্থাপন করেন বাংলানিউজের সিনিয়র আউটপুট এডিটর ও বছর জুড়ে দেশ ঘুরে কর্মসূচির ট্যুর প্ল্যানার জাকারিয়া মন্ডল এবং অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর আসিফ আজিজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লাইফস্টাইল এডিটর শারমীনা ইসলাম। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন চিফ অব করেসপন্ডেন্টস সেরাজুল ইসলাম সিরাজ। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মবিনুল ইসলাম এর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠ‍ান শুরু হয়।
 
এর আগে, দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিশেষজ্ঞ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
বিশেষজ্ঞ আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাকের আহমদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জহির বিন আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ ও হিয়ামুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী গবেষক ও সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ শাহরীয়ার সিজার রহমান অংশ নেন।
 
বাংলানিউজের এ উদ্যোগে সহযোগিতা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও ট্রাভেল এজেন্সি ফড়িং।
 

**পর্যটন বিকাশে বাংলানিউজ মাইলফলক
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ