ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

সাগর তীরে, পাহাড়ের ধারে স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৬
সাগর তীরে, পাহাড়ের ধারে স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার থেকে: একপাশে সাগর, আরেক পাশে পাহাড়-এরই নাম মেরিন ড্রাইভ সড়ক। সাগর পাহাড় আর ঝরনাকে সঙ্গী করে ১২০ কিলোমিটার পথ চলার স্বপ্ন আর কিছুদিনের মধ্যে অর্জন করবে বাংলাদেশ।

যেখানে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, যা দেশের পর্যটনের অহংকার। এই সৈকতে আ‍ঁচড়ে পড়া উত্তাল ঢেউয়ের গর্জন দেখে দেখে পথ চলবেন পর্যটকরা।

বছর দেড়েকের মধ্যে মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শেষ হলে এ সুযোগ মিলবে। যা বিশ্ব পর্যটনে বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণও হতে পারে।


পুবে পাহাড়, পশ্চিমে সমুদ্র; কক্সবাজার থেকে টেকনাফ ভ্রমণে এ সড়কটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্রিষ্টরা।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে হিমছড়ি ও ইনানী হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।  

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ প্রজেক্টের প্রকল্প কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ইনানী পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শেষ। শিলখালী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়কে তৃতীয় পর্বের কাজ চলছে। মাটি ভরাটের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ শেষ হয়ে গেছে।


‘কক্সবাজার শহর থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত যে অংশ ভেঙে গেছে তারও ডিপিপি হয়ে গেছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। ’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার থেকে ইনানী সৈকতে যেতে চাইলে আগে পর্যটকদের কিছুটা ঘুরতে হতো। এতে সময় যেমন বাড়তি ব্যয় হতো, তেমনি ভোগান্তিও ছিল।

মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে ইনানীতে যেতে সে সমস্যা হবে না। তবে এখন বড় বাস বা ভারি যানবাহন ইনানীতে যেতে দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে হিমছড়ি পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে আসা যায়। সেখান থেকে মাইক্রোবাস বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা চাঁদের গাড়িতে (বড় জিপ) করে যাওয়া যায় মেরিন ড্রাইভ রোডে।


সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় জানায়, ১৯৮৮ সালে সেনাবাহিনী মেরিন ড্রাইভের কাজ শুরু ‍করে। অর্থাভাবে এতোদিন ধরে থেমেছিলো প্রকল্পটি।
বর্তমান সরকার ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে জমি অধিগ্রহণ করে ২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পর্যটনে কক্সবাজারের নতুন দ্বার উন্মোচন হবে-এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।


বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৬
এসএ/ এমএ

**বিশ্বসেরা সার্ফিং ভিলেজ কক্সবাজার
**সম্ভাবনার ‘হিমছড়ি পিক’ অবহেলিত
** শিশুদের জন্য সেন্টমার্টিন নয়!
**‘বাবা, গোয়া সৈকতের সঙ্গে যে দারুণ মিল’
** নতুন পরিকল্পনায় সাজছে কক্সবাজার
** উত্তাল সাগর, উপচে পড়া রূপ
** সৈকতের প্রহরী, সাগরের যোদ্ধা
** খেলায়-হেলায় সমুদ্র সৈকতকে আঘাত
** সেন্টমার্টিনের বাহন ‘ভ্যানগাড়ি’
** সেন্টমার্টিন হারিয়ে যাবে!
** ছেঁড়া দ্বীপের মৌসুমী!
** সেন্টমার্টিন যেভাবে যাবেন
** তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রাম টিম এখন কক্সবাজারে
** কক্সবাজারে বাংলানিউজের দ্বিতীয় টিম
** বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: কক্সবাজারে বাংলানিউজ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ