ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

করোনার জেরে পর্যটক শূন্য ঐতিহাসিক ত্রিপুরা সুন্দরীর মন্দির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০
করোনার জেরে পর্যটক শূন্য ঐতিহাসিক ত্রিপুরা সুন্দরীর মন্দির

আগরতলা(ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে গোমতী জেলার উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির। রাজধানী আগরতলা শহর থেকে উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির এর দূরত্ব ৫৬কিলোমিটার, অবস্থানগত দিক থেকে এটি আগরতলার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত।

মন্দিরের জায়গাটি মাতাবাড়ি এলাকার নামে পরিচিত।

এখানে ত্রিপুরার রাজ বংশে মহারাজা গোবিন্দ মানিক্যের আমলে তৈরি একটি কালীমন্দির ও বিশাল আকারের দীঘি রয়েছে। দীঘির পানিতে বিশাল বিশাল আকারের মাছের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন আকারের কচ্ছপ। এই কচ্ছপ গুলোর মধ্যে অন্যতম বিরল বোষ্টমী প্রজাতির কচ্ছপও দেখতে পাওয়া যায়। তাই ধর্মীয় ভাবাবেগের পাশাপাশি ঐতিহাসিক এবং পরিবেশবাদী পর্যটকদের কাছেও একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।

করোনা মহামারির জন্য ভারত জুড়ে যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখন এই পর্যটনস্থলটিও সাময়িক সময়ের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে ফলে পর্যটকদের জন্য এই পর্যটনস্থলটি আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন আগের মতো আর পর্যটক আসছেন না বলে স্থানীয় এলাকার ব্যবসায়ীদের অভিমত।

মন্দির প্রাঙ্গণে বসে আইসক্রিম বিক্রি করেন ৫৭বছর বয়সী অমূল্য দাস এবং মন্দির প্রাঙ্গনেরই খাবার দোকানের মালিক হারাধন দে বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাস শুরুর আগে যেখানে প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি পর্যটক আসতেন করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন পর্যটকও আসছেন না। তাই চরম সমস্যার মধ্যে রয়েছেন তারা। একই অবস্থা অন্য সকল ব্যবসায়ীদের। আগে যেখানে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকত এখন তার দশভাগের একভাগও লোক আসছেন না বলেও জানান।

এই অবস্থায় করোনা মহামারি শেষ হওয়ার প্রহর গোনা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই বলেও জানান তারা। সব মিলিয়ে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
এসসিএন/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।