ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরার সেকেরকোর্টে হচ্ছে গ্রামীণ স্বাবলম্বন মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
ত্রিপুরার সেকেরকোর্টে হচ্ছে গ্রামীণ স্বাবলম্বন মেলা

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম জেলার অন্তর্গত সেকেরকোর্ট এলাকায় চলছে স্বাবলম্বন গ্রামীণ উদ্যোগ মেলা-২০২০। আগরতলা থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে এনবি ইনস্টিটিউট ফর রোরাল টেকনোলজি সেন্টার ‘অর্কনীড়’ প্রাঙ্গণে আয়োজিত হচ্ছে মেলাটি।

মেলা কমিটির আহ্বায়ক পি এল ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, এই মেলায় মূলত গ্রামীণ মানুষের দ্বারা উৎপাদিত হাতে তৈরি সামগ্রী কী করে বিপণন করা যায় তাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই মেলা আয়োজন করা। গ্রামের মানুষ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করতে পারে কিন্তু এগুলো বিক্রি করে নিজেদের স্বাবলম্বী করার মতো ভাবনা এবং মানসিক শক্তি অনেকেরই থাকে না।

তাই তাদের তৈরি সামগ্রী কীভাবে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় এই বিষয়ে সচেতন এবং মানসিক উৎসাহ যোগানো মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।

২২ জানুয়ারি থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবমিলিয়ে এখানে প্রায় ১৫০টি স্টল রয়েছে। মেলার পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

জমে উঠেছে মেলা।  ছবি: বাংলানিউজ

মেলায় গ্রাম বাংলার চিরাচরিত পিঠে পুলি থেকে শুরু করে হাতে তৈরি পুতুল গৃহসজ্জার সামগ্রীসহ ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁশের তৈরি গৃহস্থালি এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মেলার মূল আকর্ষণ হচ্ছে গ্রাম বাংলার চিরাচরিত পিঠে পুলি। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি আগরতলাশহরসহ দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে যাচ্ছেন পিঠে পুলির টানে।

মেলায় ঘুরতে আসা সঞ্জীব রায় বাংলানিউজকে জানান, তিনি গত দু’বছর ধরে পরিবার নিয়ে এই মেলায় আসছেন। তার এবং তার পরিবারের মূল আকর্ষণ থাকে পিঠে পুলির দিকে। এখানে এক জায়গায় রকমারি পিঠে পাওয়া যায়। যেগুলোর অনেকটাই আগে বাড়িতে তৈরি হতো কিন্তু এখন আর তেমনভাবে তৈরি হয় না। আগে তার দাদী, মা এইসব পিঠে পুলি তৈরি করতে পারলেও নতুন প্রজন্মের অনেকেই এগুলো কীভাবে তৈরি করতে হয় তা জানেন না। ফলে এই মেলায় এলে হারিয়ে যাওয়া পিঠে পুলির স্বাদ পাওয়া সম্ভব হয়।

এভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পিঠা।  ছবি: বাংলানিউজ

মেলায় পিঠেপুলি নিয়ে আসা সন্ধ্যা দে, ইতি দেব, পুষ্প দাস’রা পিঠে পুলির দোকান নিয়ে বসেছেন। তারা বাংলানিউজকে জানান, মেলায় আসা মানুষের মধ্যে তাদের তৈরি পিঠে পুলির প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। প্রচুর পরিমাণে পিঠে পুলি মানুষ মেলাতে বসে খান এবং কিনে বাড়িতেও নিয়ে যান। একেকজন প্রতিদিন প্রায় ১ থেকে ২ হাজার রুপির পিঠে পুলি বিক্রি করছেন।

গ্রামীণ এলাকায় বসবাসরত মানুষদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে অর্কনীড়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এসসিএন/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।