ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় বন্যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
ত্রিপুরায় বন্যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে টানা চারদিন ধরে হওয়া বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট  বন্যায় মাঠের শাক-সবজিসহ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

আগরতলা: ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে টানা চারদিন ধরে হওয়া বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট  বন্যায় মাঠের শাক-সবজিসহ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার (০৭ নভেম্বর) বিকেল থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ হওয়ায় ধীরে ধীরে ঘরবাড়ি ও মাঠঘাট থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করে।

রাজ্যের খোয়াই জেলার অন্তর্গত তুইসিন্দ্রাই, হাওয়াইবাড়ী, পুলিনপুর, বাইশঘরিয়া, কৃষ্ণপুর, মোহরছড়া প্রভৃতি এলাকার কৃষকরা সরকারের কৃষি দফতরের পরামর্শ অনুযায়ী, এ বছর এসআরআই পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছিলেন। ফলনও খুব ভালো হয়েছিল। আর কিছুদিন পর মাঠের ধান ঘরে তোলার কথা কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে এখন কৃষকদের মাথায় হাত।

ভুক্তভোগী কৃষকরা বাংলানিউজকে বলেন, গত চারদিন আধপাকা ধান পানিতে ডুবে ছিলো। এখন পানি নামলেও এই ধান থেকে দুই একদিনের মধ্যে কুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্য না পেলে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে।

একই অবস্থা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মোহনভোগ, চন্দনমুড়া, বরতলী প্রভৃতি এলাকায় সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ হয় সোনামুড়া মহকুমায়। বন্যায় গোমতী নদীর পানি পার্শ্ববর্তী এলাকার সবজি ক্ষেত ডুবিয়ে দেয়।

বরতলী এলাকার কৃষক হরে রাম পাল এ বছর পাঁচ কানি জমিতে কপি, শসা ও করলা চাষ করেছিলেন কিন্তু বন্যায় সবগুলো সবজি ক্ষেতই পানিতে তলিয়ে যায়। সব মিলিয়ে তার ৫০ হাজার রুপি ক্ষতি হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান তিনি।

আরেক চাষি পল্টু দাস বলেন, তিনি এ বছর প্রায় দুই কানি জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছিলেন কিন্তু সব জমিই পানিতে তলিয়ে যায়। এখন পানি নামলেও সবজিগুলো পচে নষ্ট হয়ে যাবে।

একইভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের অন্য জেলায়ও বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
এসসিএন/জিপি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।