রোববার (১১ মার্চ) দুপুরে মামলার রায়ের নথিপত্র উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মোকাররম হোসেন বলেন, ৫ হাজার ৩৭৩ পৃষ্ঠা মামলার নথি উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আইনজীবীদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন খালেদার জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের যে নথি ১৫দিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে, সে নথি আসার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আদেশের সময় নির্ধারণ করেছিলেন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে নথি নিয়ে আদালতের আদেশের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে খালেদার আইনজীবীরা একটি মেনশন স্লিপসহ আবেদন উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।
কিন্তু নথি এসে না পৌঁছানোর কারণে একই দিন সকালে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার (১২ মার্চ ) দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন>>
>> খালেদার জামিন নিয়ে আদেশ পেছালো
এর আগে, ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করেন।
সাজা ঘোষণার পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এমআই/ইএস/এসএইচ/এমএ
