ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

বাংলাদেশের রূপ-আতিথেয়তায় মুগ্ধ ক্রুজ শিপের যাত্রীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
বাংলাদেশের রূপ-আতিথেয়তায় মুগ্ধ ক্রুজ শিপের যাত্রীরা সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন- ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ক্রুজ শিপ ‘সিলভার ডিসকভার’ বাংলাদেশে প্রবেশের মাধ্যমে দেশের পর্যটন খাতের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। অন্যদিকে বাংলাদেশের রূপ আর আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন বিদেশি পর্যটকেরা।

দেশের পর্যটনের অগ্রযাত্রায় অবদান রেখে ক্রুজ শিপ পর্যটনে অংশ নিতে সকল বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান মেনন বলেন, ক্রুজ শিপ পর্যটন ইউরোপ আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। সাধারণত ধনীরাই প্রমোদতরীতে (জাহাজ) করে বিদেশ দেখার সামর্থ্য রাখেন। তাই বেসরকারি ট্যুর অপারেটর কোম্পানি ‘জার্নি প্লাস’ আমেরিকান ক্রুজ শিপ কোম্পানি ‘সিলভার ডিসকভার’কে বাংলাদেশের পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করায় দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, পর্যটন খাতে অধিক কর্মসংস্থান ও দেশের এ খাতের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এ ঘটনা ওশান ক্রুজের ক্ষেত্রে ইতিহাস হয়ে থাকবে।

তিনি জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো থেকে যাত্রা শুরু করে ভারতের আন্দামান হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার আসে। জাহাজের ৯৫ জন বিদেশি পর্যটক সাগর থেকে ১২টি জোডিয়াক বোটে করে মহেশখালীতে আসেন। ১৩ দেশের এই পর্যটক দলের মধ্যে ৪২ জন মার্কিন, ২৪ জন বৃটিশ, সাতজন কানাডিয়ান, ছয়জন অস্ট্রেলিয়ানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিক।

তারা মহেশখালীর আদিনাথ জেটি, আদিনাথ মন্দির, রাখাইন স্কুল, স্থানীয় গ্রাম ও বাজার পরিদর্শন করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি সুন্দরবনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট, হাড়বাড়িয়া, ২৪ ফেব্রুয়ারি চরপুটিয়া ও কোকিলমুনি ভ্রমণ শেষে ভারতের কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা।

জাহাজটি ২৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) কলকাতা থেকে নতুন ১০ দেশের ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছে। আগামী ১ মার্চ (বুধবার) সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে নোঙ্গর করবে জাহাজটি। মহেশখালী ভ্রমণ শেষে ৩ মার্চ (শুক্রবার) মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে তারা।

পর্যটন মন্ত্রী বলেন, প্রথম ট্রিপে সব মিলিয়ে ৩৫ লাখ টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভিসা ফি বাবদ তিন লাখ টাকা, লজিস্টিক বাবদ ১২ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকা। এছাড়া মহেশখালীতে পর্যটকরা ১০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছেন।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ফারুখ বলেন, পর্যটন খাতে দেশের কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র এবং এর নদীগুলোকে পর্যটনের আওতায় আনতে পারলে সরকারের রাজস্বও বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে জার্নিপ্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান বলেন, ক্রুজে অংশ নেওয়া বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের আতিথেয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেন, জাহাজ কোম্পানিও এ কাজে সরকারের সহযোগিতায় সন্তুষ্ট হয়ে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
আরএম/জিপি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।