ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলায় বিক্রি বেড়েছে কয়েদিদের তৈরি পণ্যের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯
বাণিজ্যমেলায় বিক্রি বেড়েছে কয়েদিদের তৈরি পণ্যের কয়েদিদের তৈরি পণ্য-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: আর মাত্র কয়েকদিন পরই পর্দা নামবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার। এরইমধ্যে বিক্রি বেড়েছে দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে আনা পণ্যের। বাহারি নকশা আর হাতের কাজ করা পণ্য টানছে ক্রেতাদের।

স্টল কর্তৃপক্ষ বলছে, মেলায় আসা এসব পণ্য কারাগারের কয়েদিদের তৈরি করা। দিনে গড়ে দেড় লাখ টাকার পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে।

রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত বাণিজ্যমেলার বাংলাদেশ জেলের তিন নম্বর প্যাভিলিয়ন ঘুরে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাণিজ্যমেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করেই হাতের বাম পাশ দিয়ে একটু এগোতেই চোখে পড়বে বাংলাদেশ জেল নামের প্যাভিলিয়নটির। এখানে রয়েছে বেতের তৈরি সোফা সেট, টেবিল, মোড়া, পুতির ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ, ঝাড়ু, ফুলের ঝুড়িসহ নানা পণ্য। প্রতিটি পণ্য দেশের বিভিন্ন কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরা তৈরি করেছে। এসব পণ্য বিক্রির অর্ধেক অর্থ পাবেন কয়েদিরা।

এ স্টলে বেতের তৈরি সোফা সেটের দাম পড়বে ২১ হাজার টাকা, ড্রয়িং টেবিল ১১ হাজার টাকা, হাতের কাজ করা বেড সিট ৩ হাজার টাকা, পুতির ব্যাগ ৮০০ টাকা, পুতির ভ্যানিটি ব্যাগ ৪৫০ টাকা, পুতির পার্স ৩০০ টাকা, পুতির টিস্যু বক্স ৩০০ টাকা, বেতের টি টেবিল ১ হাজার ৯৫০ টাকা, ফলের ডালা ৩৫০ টাকা, ব্যাগ ৫০ টাকা, নারিকেল ঝাড়ু ৭০ টাকা ও পুতির কলমদানি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মোড়া ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় ও রাজসিংহাসন ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আরিফা সুলতানা নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আমি পুতির কয়েকটি জিনিস কিনেছি। হাতে তৈরি অথচ অনেক চমৎকার পণ্য।  

প্যাভিলিয়নের দায়িত্ব পালন করা টাস্ক ট্রেকার মো. ওয়াসিম খান বলেন, এসব পণ্য কয়েদিদের তৈরি করা। পণ্য বিক্রির অর্ধেক পাবেন যে কয়েদি পণ্যটি তৈরি করেছেন তিনি।  

দিনে গড়ে দেড় লাখ টাকার পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনু্যায়ী, মাসব্যাপী এ মেলা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।  

মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।  

এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো-থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯ 
ইএআর/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।