ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলার প্রস্তুতি শেষ হয়নি, তবুও...

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
বাণিজ্যমেলার প্রস্তুতি শেষ হয়নি, তবুও... মানুষে একরকম পূর্ণ হয়ে গেছে মেলা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা মেলা শুরুই হলো মাত্র দু’দিন, এরইমধ্যে প্রায় জমে গেছে মেলা প্রাঙ্গণ। প্রথম দিন তেমন দর্শনাথী না থাকলেও দ্বিতীয় দিনটি ছিল প্রায় মানুষের পরিপূর্ণ মেলা। যদিও মাসব্যাপী এই মেলার স্টল বানানো বা সাজানোর প্রস্তুতি শেষ হয়নি এখনও; চলছে পুরোদমে।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকেই মেলায় আগত দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেল হতে না হতেই মানুষে একরকম পূর্ণ হয়ে যায় পুরো মেলা প্রাঙ্গণ।

লোভনীয় খাবার আর হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে বাণিজ্যমেলার স্টলগুলো। সব মিলে বলা যায়, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় প্রথম দিকেই জমে উঠেছে মেলা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় বেশির ভাগ মানুষই ঘুরতে এসেছেন। আর তার মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী। তবে বেচাকেনা তেমন একটা শুরু হয়নি এখনও।

বিক্রি এখনও শুরু হয়নি এমনটি বলছেন ক্রেতারাও। তবে তাদের আশা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো থাকলে দর্শনার্থীরর আগমন বেশি হবে। আর তখনই বিক্রিও ভালো হবে।

অপরদিকে, মেলা প্রাঙ্গণে এখনও বিভিন্ন স্টলের কাজ বাকি রয়েছে। চলছে স্টল বানানো এবং পণ্য দিয়ে সাজানোর মহড়া। তাছাড়া কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হবে মেলার প্রাঙ্গণের স্টলের সব প্রস্তুতি।

মেলায় আগত আলফাজ নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, আজ মেলায় আশা মূলত ঘুরতে। এর মধ্যে কোনো পছন্দের পণ্য কম দামে পেলে অবশ্যই কেনার ইচ্ছা আছে।

আরেক দর্শনার্থী শিউলিও বলছেন একই কথা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছি। তবে এখনই কিছু কেনার উদ্দেশে নয়। ঘুরতেই মূলত আসা।  মানুষে একরকম পূর্ণ হয়ে গেছে মেলা, ছবি: বাংলানিউজতিনি এও বলেন, ঘরতে এসেও এখন পর্যন্ত শাল ও ব্লেজার কিনেছি। মনে হচ্ছে কম দামেই পেয়েছি।

এদিকে, কাশ্মীরি শাল ঘরের সেলস এক্সিকিউটিভ সুজন বাংলানিউজকে বলেন, এবার বিক্রি ভালো হবে মনে হচ্ছে। দ্বিতীয় দিনেই দর্শনার্থীর সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও। আশা করি এবারের মেলায় অন্যবারের চেয়ে বিক্রি ভালো হবে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, মাসব্যাপী এ মেলা ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। তাছাড়া এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনেও পাওয়া যাবে।

মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

এর আগে বুধবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯ 
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।