ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

খুললো পর্যটনের দুয়ার

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
খুললো পর্যটনের দুয়ার

খাগড়াছড়ি: করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্প। সম্ভাবনাময় এ খাতটি মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

একইসঙ্গে এই শিল্প সংশ্লিষ্ট নানা শ্রেণিপেশার মানুষ পথে বসার দ্বারপ্রান্তে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে শর্ত সাপেক্ষে দেশের পর্যটনের দুয়ার খুলে দিয়েছে সরকার। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কম হওয়ায় এ সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশের পর্যটন শিল্প যেন আলোর মুখ দেখছে। স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটকদের চাহিদার বড় একটি খোরাক পূর্ণ করে থাকে পাহাড়ের সৌন্দর্য। লেক-নদী-পাহাড়-ঝরনার রুপ দেখতে ছুটে আসেন তারা। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সবটুকু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তারা আশা করছেন পর্যটন স্পটগুলো বৃহস্পতিবার থেকে খুললেও শুক্রবার থেকে পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর হবে।

জেলার আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, হর্টিকালচার পার্ক, দেবতা পুকুর, মায়াবিনী লেক, তৈদুছড়া ঝরনাসহ অন্যান্য স্পট পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। হোটেল-মোটেলে বুকিং আসতে শুরু করেছে। দেশের জনপ্রিয় স্পট সাজেক যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। তাই দীর্ঘ সময় বন্ধের পর পর্যটকবাহী পরিবহনগুলোর চালক-শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে।

গেল বছর করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে ১৮ মার্চ সারাদেশের মত খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে পাঁচ মাস পর ২৮ আগস্ট খুলে দেওয়া হয়। ফের করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছরের ৩১ মার্চ পুনরায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটন স্পট আলুটিলার ব্যবস্থাপক পিযুস কান্তি ত্রিপুরা বলেন, করোনা প্রকোপের আগে প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার দুই থেকে আড়াই হাজার পর্যটকের সমাগম হত। কিন্তু পরে তা আর হয়নি। আশা করছি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এখন আবার পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়বে।

খাগড়াছড়ির গাইরিং হোটেলের স্বত্বাধিকারী এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, আমরা গত দুই বছর ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলেও এই শিল্পের আগের মত পরিবেশ নাও হতে পারে। করোনার প্রকোপ বাড়লে ফের বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তারপরও আমরা আশাবাদী।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, পর্যটনখাতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঠিকি তবে আমরা আশাবাদী। সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
এডি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।