ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

ঈদের ছুটিতে যেতে পারেন পঞ্চগড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
ঈদের ছুটিতে যেতে পারেন পঞ্চগড়

পঞ্চগড়: ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে। আর এ জেলায় ভ্রমণ পিপাসুসহ শিশুদের ভ্রমণে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

অবশ্য পরিবারের সঙ্গে দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে আগে পরিকল্পনা করে নিতে হয়। কারণ ছোট কিছু ভুলের কারণে আপনার পুরো আনন্দ ভ্রমণ নিরানন্দে পরিণত হতে পারে।

তাই পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে আপনার ভ্রমণ আনন্দময় করতে পঞ্চগড় নিয়ে বাংলানিউজের একটি বিশেষ প্রতিবেদন...

পঞ্চগড়কে বাংলাদেশের প্রান্তিক জেলা ও সীমান্ত জেলা বলা হয়ে থাকে। একসময় পঞ্চগড়কে বলা হতো ‘পাঁচাগড়’। এ অঞ্চলের পাঁচটি গড়ের সুস্পষ্ট অবস্থানের কারণেই পঞ্চগড় নামটির উৎপত্তি। যার প্রমাণ মেলে- ভিতরগড়, মিরগড়, রাজনগড়, হোসেনগড় ও দেবনগড়।

জেলার বিভিন্ন বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো দেখতে ঈদের দিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ যায়। অলস সময় না কাটিয়ে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী এবং পরিবারের সবাই মিলে দল বেধে যায় বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে। ঈদের এই আনন্দ সবাই ভাগ করে নেই। আর এ আনন্দ উপভোগ করতে আপনিও আসতে পারেন পঞ্চগড়ে।  

বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো হলো- পঞ্চগড় শহরের ডিসি পার্ক, মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত রকর্স মিউজিয়াম (পাথরের জাদুঘর), করতোয়া নদীর পাড়, বিজিবি ক্যান্টিন, বোদা পৌরসভা সংলগ্ন বাইপাস মহাসড়ক, বদেশ্বরী মন্দির, মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বারো আউলিয়ার মাজার, তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট-ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মহানন্দা নদীর পাড়, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, পিকনিক কর্নার (শিশু পার্ক), রওশনপুর জেমকন গ্রুপের কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট, আনন্দধারা, আনন্দ গ্রাম, শিশুপার্ক, মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়ার স্মৃতিসৌধ, ভিতরগড়ের পৃথু রাজার মহারাজার দীঘি, ভীমের জঙ্গল, বাংলার শ্রেষ্ঠ সুলতান হোসেন শাহের হোসেন দীঘির গড়, মুঘল সেনাপতি মীর জুমলার মীরগড় এবং ইখতিয়ারউদ্দীন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজীর রাজনগড় এবং তালমা রাবার-ড্যাম, হিমালয় বিনোদন পার্ক ও রাস্তার পাশে অবস্থিত ভারতীয় কাঁটাতারের সীমানা প্রাচীর। তবে শিশুসহ সকল বয়সের মানুষের জন্য এক অন্যভাবে সাজানো হয়েছে তেঁতুলিয়া উপজলো ডাকবাংলো ও পিকনিক কর্নারকে।
পঞ্চগড়ের হিমালয় পার্ক।  ছবি: বাংলানিউজ
পঞ্চগড় থেকে রাজধানী শহর ঢাকার দূরত্ব ৬০০ কিলোমিটার। পঞ্চগড় থেকে বাংলাদেশের সব বিভাগীয় শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থাও চমৎকার।  

কিভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে নাইট/ডে কোচ পরিবহনে আসতে পারেন পঞ্চগড় জেলায়। ভাড়া পড়বে ৭০০-৮০০ টাকা। আবার ঢাকা কমলাপুর থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে সরাসরি পঞ্চগড় মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন আসতে পারেন। ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫৫০ টাকা।

ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা: পঞ্চগড় থেকে বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ানোর জন্য শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড অথবা শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে কার বা মাইক্রোবাস ভাড়া করতে পারেন। সারাদিনের জন্য রিজার্ভ কারের ভাড়া পড়বে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা।

রাতে থাকার জায়গা: পঞ্চগড় সার্কিট হাউজ, ডিসি কটেজ, পঞ্চগড় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, বাংলাবান্ধা ডাকবাংলো, তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নারসহ রয়েছে জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।