ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

এলো ৬১ বিদেশি পর্যটকবাহী জাহাজ ‘সিলভার ডিসকভারার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
এলো ৬১ বিদেশি পর্যটকবাহী জাহাজ ‘সিলভার ডিসকভারার’

ঢাকা: ভারতের চেন্নাই থেকে বাংলাদেশে এসেছে ৬১ বিদেশি পর্যটকবাহী জাহাজ ‘সিলভার ডিসকভারার’। রোববার (২৭ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টায় জাহাজটি মোংলা সমুদ্র বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।

‘সিলভার ডিসকভারারে’ আসা ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকরা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করবেন। তারা যাওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে আরও দু’টি বিলাসবহুল জাহাজে বাংলাদেশে আসবেন বিদেশি পর্যটকরা।

 

সব মিলিয়ে এই জাহাজগুলোতে চড়ে মোট ২১১ জন বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন। এদের ভিসা ফি বাবদ সরকারের উল্লেখযোগ্য অংকের রাজস্ব আয় হচ্ছে বলে জানা গেছে।

যৌথভাবে এই সফরের আয়োজন করেছে বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটর ‘জার্নি প্লাস’ এবং ডেনমার্কের ‘দ্য পুগমার্ক’।

এর আগে, ২০১৭ সালে জাহাজটি ১৭টি দেশের মোট ১৬২ বিদেশি পর্যটক নিয়ে দুইবার মহেশখালী দ্বীপ এবং সুন্দরবন ভ্রমণ করে। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক অনেক রুটে চললেও জাহাজটি বাংলাদেশে আসেনি।

এ বিষয়ে জার্নি প্লাসের সিইও তৌফিক রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের এ ধরনের বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ এর আগে ২০১৭ সালে এসেছিল। এবার দ্বিতীয়বারের মতো এটি বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছে। জাহাজটির আগমন দেশের পর্যটনশিল্পের বড় অর্জন। এছাড়া সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী, পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে আমরা একধাপ এগিয়ে গেলাম।

তৌফিক রহমান বলেন, প্রথম জাহাজে বেশির ভাগই ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী; যারা প্রথমবার বাংলাদেশ ভ্রমণে আসছেন। এই পর্যটকরা মোংলা বন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সেরে বন্দর পরিদর্শন করবেন। এরপর সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট, হাড়বাড়িয়া, ফকিরমনি পয়েন্টসহ আলোরকল ফিশারম্যান কলোনি ঘুরে দেখবেন তারা। সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য ঘুরে দেখে ৩০ জানুয়ারি কক্সবাজারের মহেশখালী এবং ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন যাবেন তারা। এরপর জাহাজটি মিয়ানমার চলে যাবে।

দ্বিতীয় জাহাজটি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার থেকে ৭২ পর্যটক নিয়ে রওনা হয়ে ভারতের পোর্ট ব্লেয়ার ও আন্দামান দ্বীপ যাবে। সেখান থেকে এটি ফের মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দর হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আসবে। এখান থেকে সুন্দরবন এবং মোংলা বন্দর হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের চেন্নাই বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবে। আর তৃতীয় জাহাজটি ১৯ ফেব্রুয়ারি চেন্নাই থেকে রওনা দিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসবে। এটি সুন্দরবন হয়ে মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন ঘুরে ২৭ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে চলে যাবে। সে জাহাজটিতেও ৭৮ বিদেশি পর্যটক থাকবেন।

বাংলাদেশ পর্যটন কপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, আগে কলকাতা বা থাইল্যান্ড হয়ে বাংলাদেশে এলেও এবার বিদেশি পর্যটকরা আসছেন চেন্নাই বা মিয়ানমার রুট হয়ে।

প্রতিটি ট্যুরই ১৪ দিনমেয়াদী। থাকা-খাওয়াসহ ভ্রমণের সর্বনিম্ন খরচ ১০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে আট লাখ টাকা)। তবে এটির স্যুটে ভ্রমণে খরচ ১৪ থেকে ১৬ হাজার ডলার। জাহাজটিতে আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্ট, লাউঞ্জ, স্যুট ও বিশাল ডেকে বসে বিশাল সমুদ্রে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭-২০১৯
জিসিজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।