ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার তাহিরপুরে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার তাহিরপুরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার তাহিরপুরে

সুনামগঞ্জ: তাহিরপুর সুনামগঞ্জের অন্য ১০ উপজেলা থেকে একটু ব্যতিক্রম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সারা দেশে ছড়িয়ে আছে সীমান্তবর্তী এই উপজেলাটির খ্যাতি।

এখানেই রয়েছে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার টাঙ্গুয়ার হাওর। রয়েছে শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রি পার্ক), যাদুকাটা নদী, বারেক্কা টিলার মতো প্রকৃতির উজাড় করা সব দর্শনীয় স্থান।

শুধু সুনামগঞ্জ নয়, সারা দেশ থেকেই ভ্রমণপিপাসুরা আসেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে।

ইদানীং শহীদ সিরাজ লেকেই পর্যটকের ভিড় বেশি থাকে। সেখানে রয়েছে ভারত থেকে নেমে আসা একটি নয়নাভিরাম ঝরনাও।

উপজেলার পর্যটন বিকাশে নানান উদ্যোগ নিয়েছে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন। যাদুকাটা নদীর পার্শ্ববর্তী বারেক্কা টিলায় পর্যটকদের সুবিধার জন্য বসার স্থান ও বাচ্চাদের খেলাধুলার কিছু রাইড বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  

পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যহারে পর্যটক বাড়ায় সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাহিরপুরে নির্মাণ করছেন মানসম্মত কটেজ ও আবাসিক হোটেল। এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগে মানসম্মত এসি ও নন এসি রুমসহ ৫ তলা একটি আবাসিক হোটেল চালু করেছেন এক ব্যবসায়ী। ফলে তাহিরপুরে রাত্রিযাপন নিয়ে আগে পর্যটকদের যে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো, সে ভোগান্তির লাঘব হয়েছে অনেকটাই।
...
প্রাকৃতিক পর্যটন স্পটগুলো ছাড়াও প্রতি বছর এপ্রিলের শুরুতে একই সময়ে তাহিরপুরে অনুষ্ঠিত হয় শাহ আরেফিনের মাজারে ওরশ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পূর্ণতা লাভের আশায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাদুকাটা নদীতে স্নান করেন। আর মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা শাহ আরেফিনের ভক্ত হিসেবে যান ওরশ পালন করতে। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক লাখ মানুষ এসে জড়ো হন তাহিরপুরের এই দুটি তীর্থস্থানে।

তাহিরপুরের বাসিন্দা সালাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, তাহিরপুরে আগে খুব কম মানুষ আসতো ঘুরতে। বেশি আসতো সুনামগঞ্জের মানুষই। কিন্তু এখন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসছে। প্রায় প্রতি দিনই ২০ থেকে ৩০ জন পর্যটক আসছেন। কেউ আবার টাঙ্গুয়ার শহীদ সিরাজ লেকে যান।

ঢাকা থেকে আসা তাসমিয়া আক্তার নামে এক পর্যটক বলেন, আমি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে জেনেছি তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেকের কথা । এই জায়গাটা নাকি অনেক সুন্দর। তাই ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লেগেছে। তবে সময়ের অভাবে সব জায়গায় যেতে পারিনি।

তাহিরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বাংলানিউজকে বলেন, আমি তাহিরপুরের পর্যটন বিকাশের জন্য যা যা করা দরকার তা করবো। এর আগে আমি টাঙ্গুয়ার হাওরে জ্যোৎস্না উৎসব করেছি, যা মিডিয়ার কল্যাণে দেশের সবার নজর কেড়েছে। আমরা পর্যটকদের সুবিধার জন্য এলজিইডির সহযোগিতায় আবাসন নির্মাণের চিন্তা করছি। সেখানে স্বল্পমূল্যে থাকতে পারবেন পর্যটকেরা। সেই সাথে বারেক্কা টিলায় পর্যটকদের বসার জন্য ছাউনি আকর্ষণীয় করে তুলতে ১০ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া তাহিরপুরে কোনো পর্যটক যদি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চায় তাকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২  ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।