ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

বাংলাদেশের পর্যটন বিকাশে পাশে থাকার আশ্বাস

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬
বাংলাদেশের পর্যটন বিকাশে পাশে থাকার আশ্বাস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেশি-বিদেশি পর্যটন নীতি নির্ধারক, পর্যটন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, পর্যটন সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে শেষ হলো প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা) সম্মেলন। 

কক্সবাজার থেকে: দেশি-বিদেশি পর্যটন নীতি নির্ধারক, পর্যটন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, পর্যটন সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে শেষ হলো প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা) সম্মেলন।  
 
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শেষ হয় দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) কক্সবাজারের ‘রয়েল টিউলিপ সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’-এ  প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) ‘নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্ট্রিয়ার ফোরাম’ শুরু হয়।  
 
বিশেষজ্ঞরা জানান, সারা বিশ্বে উপকূলীয় পর্যটনের দ্রুত বিকাশ ঘটছে। তাই বাংলাদেশে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারসহ বৃহৎ উপকূলীয় অঞ্চল।  
 
বিদেশি অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। পর্যটন বিকাশে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার। এর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ পর্যটন সংস্থা ইউএনডব্লিউটিও, পাটাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।  
 
অনুষ্ঠানে ইউএনডব্লিউটিও’র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক শু জিং বলেন, পর্যটন খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। এখন উপযুক্ত পরিকল্পনার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন ও সেবা নিশ্চিত করতে পারলে কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের পর্যটন এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ইউএনডব্লিউটিও বাংলাদেশের পাশে থাকবে।  
 
পাটার চেয়ারম্যান অ্যান্ড্রু জোনস বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সাদৃশ্যগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। এগুলোকে ধরেই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের পর্যটন সমৃদ্ধ হবে।  
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মোট ৫টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। পর্যটনের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন শীর্ষক একটি অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. শাকের আহমেদ বলেন, আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে কক্সবাজারের পর্যটন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছবে। সরকার এ অঞ্চলে পর্যটন নিয়ে দু’টি এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন তৈরি করছে।  
 
উপকূলীয়সহ যেকোনো পর্যটন উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় অধিবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন জাতিসংঘের সংস্কৃতি পর্যটন বিশেষজ্ঞ পিটার রিকার্ডস। তিনি বলেন, কমিউনিটি বাছাইয়ে শিক্ষা, ভাষা, রান্না-বান্না এসব দিকের ওপর খেয়াল রাখা জরুরি।  
 
পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরুপ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৭১০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকা রয়েছে। কক্সবাজারসহ উপকূলীয় পর্যটন বিকাশে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রভৃতি। এক্ষেত্রে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে কোরালসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের সম্মুখীন।  
 
উপকূলীয় পর্যটনের উন্নয়নে নেপালের টেকসই পর্যটন বিশেষজ্ঞ মারিও ভ্যান স্ট্রেইন বলেন, পর্যটকদের চাহিদার ভিত্তিতে স্পটগুলোকে ভাগ করতে হবে। তাহলে একটি নির্দিষ্ট স্পটের ওপর চাপ কমবে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পর্যটন বন্ধ রাখা, পর্যটন সেবায় বৈচিত্র্য নিয়ে আসার সুপারিশ করেন তিনি।
 
দিনব্যাপী সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিমান ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক। সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিটিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবীর প্রমুখ।  
 
এছাড়া বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ল্যাভডিশ ইউকে’র প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসমিন চৌধুরী, আইইউসিএন’র মোহাম্মদ শাহাদ মাহাবুব চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার ইকোট্যুরিজম বিশেষজ্ঞ ড. পাউল রগার্স, ঢাকা  রিজেন্সি হোটেলের নির্বাহী পরিচালক শাহিদ হামিদ, নেপালের রাজ গাওয়ালী, মিম হামাল প্রমুখ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।