ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

রেগুলেটরের কাজ পুঁজিবাজারকে সহায়তা করা: আব্দুর রউফ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
রেগুলেটরের কাজ পুঁজিবাজারকে সহায়তা করা: আব্দুর রউফ

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, একটা রেগুলেটরের যে কাজ, সেই কাজটি আমরা করছি। রেগুলেটর হিসেবে পুঁজিবাজারকে আমরা সহায়তা করে যাচ্ছি।

সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

গর্ভনর বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটের দুটি পার্ট। এর মধ্যে একটা ইক্যুইটি মার্কেট, আরেকটা ডেফথ মার্কেট। ইক্যুইটি মার্কেটই হলো শেয়ার মার্কেট। বাংলাদেশে এই শেয়ার মার্কেটই ডেভলপ করেছে। শেয়ার মার্কেটেরে আরেকটা অংশ, যেটা আসলে বড় হওয়া উচিত সেটা হলো বন্ড মার্কেট। সেটা কিন্তু খুব বেশি গড়ে ওঠেনি। সেটার সেকেন্ডারি মার্কেট আসলে ততটা ভালো কাজ করছে না। বন্ড মার্কেটকে বড় করতে যে সাপোর্ট দরকার সেটা গভর্নর হওয়ার পর বেশি অনুভব করলাম।

তিনি বলেন, সরকারি যে ট্রেজারি বন্ড আছে এগুলো সেকেন্ডারি মার্কেটে ট্রেড করার অটোমেটিক সিস্টেম ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। মগ ট্রায়ালও হয়েছে এবং এটা খুব ভালো কাজ করেছে। আমরা এটা আগামী সপ্তাহ থেকে ট্রায়াল বেসিসে শুরু করতে পারব।

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বন্ড মার্কেটের বিকাশে আরেকটা বড় সমস্যা ছিল সঞ্চয়পত্র। সঞ্চয়পত্রে খুব উচ্চ সুদ ছিল। এ কারণে বিনিয়োগের একটা বিরাট অংশ সঞ্চয়পত্রে ঢুকে যেত। এর মাধ্যমে গরিবের টাকা আমরা বড় লোকদের দিয়ে দিতাম। আমি অর্থ সচিবের দায়িত্ব নিয়ে একজন যাতে ৫০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র না কিনতে পারে সেই আইন করেছি। এখন কোনো ব্যাংকে ৫০ লাখের বেশি সঞ্চয়পত্র কেনা যায় না। আমরা চাই মানুষ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ না করে ক্যাপিটাল মার্কেটে করুক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ বলেন, শেয়ারবাজারের মূল বিষয় হলো মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। এটি আমাদের অর্জন করা খুব জরুরি।

তিনি বলেন, ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়! আর চুন খেয়ে মুখ পুড়লে দই দেখলেও মানুষ ভয় পায়! এটি আমাদের বাস্তবতা, চিরন্তন সত্য বিষয়। সেই ১৯৯৬ আর ২০১০ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানুষজনের আস্থা ও বিশ্বাস এখান থেকে চলে গেছে। যেভাসে সব লোক এখানে ধাবিত হয়েছিল, এসেছিল, এখন তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাদেরকে ফেরাতে হলে আমাদের চিন্তা করতে হবে। সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জকে কাজ করতে হবে এবং তারা সে কাজ করছে।

সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনতে আমরা কাজ করছি। আস্থা কোথা থেকে, কীভাবে আনব জানি না। তবে, এখানে আর ১৯৯৬ এবং ২০১০ কখনো আসবে না। তাই পুরনো স্মৃতি ভুলে যাওয়াই ভালো।

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফেয়ার কানাডার নির্বাহী পরিচালক জন-পল ব্রাউড। আর স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।