ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২০
স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা বেশি

ঢাকা: স্টক এক্সচেঞ্জকে কেন্দ্র করে শেয়ারবাজারের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। তাই স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। বিশেষ করে স্বতন্ত্র পরিচালকদের কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। সেইসঙ্গে নির্ভর করে বাজারের গতিশীলতা।

সোমবার (২ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা বহুমূখী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সফল ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।

যে পর্ষদে আছে শেয়ারবাজারের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পরিচালকরা। সবার উদ্দেশ্য শেয়ারবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া। এর জন্য বিএসইসির পক্ষে যে সহযোগিতা করার দরকার, তা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএসইসি বিগত কয়েক বছরে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে আইনগত ও অবকাঠামোগত বহু সংস্কার করেছে। এতে শেয়ারবাজারের ভিত অনেক মজবুত হয়েছে। যা ভবিষ্যতে শেয়ারবাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এসময় ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। এই ৫০ বছরের মধ্যে গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ১৫ বছরে সামাজিক ও আর্থিক খাতের সূচকে অনেকাংশে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে বাজারে মূলধনের পরিমাণ খুবই কম। বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধনের অনুপাত শতভাগে উন্নীত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন সিকিউরিটিজ। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের এ সম্ভাবনাময় খাতকে পুঁজি উত্তোলনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৩০ এবং ২০৪১ সালকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টর যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের শেয়ারবাজারকেও সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে।

এসময় বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা, খন্দকার কামালুজ্জামানসহ নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ডিএসইর প্রতিনিধিদলে স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, সালমা নাসরিন, মো. মুনতাকিম আশরাফ, অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, মো. শাকিল রিজভী, মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক এবং মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এসএমএকে/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।