ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

‘ভবিষ্যতে বড় পরিসরে বিনিয়োগ শিক্ষাকার্যক্রম’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
‘ভবিষ্যতে বড় পরিসরে বিনিয়োগ শিক্ষাকার্যক্রম’

ঢাকা: এবার শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা ও বিনিয়োগ সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউজের কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে নিয়ে আরো বড় পরিসরে বিনিয়োগ শিক্ষাকার্যক্রম চালু করা হবে জানিয়েছেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল  হোসেন।

রোববার (০৮অক্টোবর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রন সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হল রুমে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমার মেয়াদ আর ছয় মাসের মতো আছে।

এই ছয় মাসে চেষ্টা করবো বাজারের স্বার্থে আরো কিছু করতে। বিশেষ করে ইনভেস্টর প্রটেকশন এবং বিনিয়োগকারী শিক্ষার বিষয়ে জোর দেওয়া হবে।

বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য বিআইসিএম গঠন করা হয়েছিলো উল্লেখ করে কমিশনের সদস্য হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যক্রমই এখনো গঠনমূলক ভাবে করতে পারিনি। প্রতিষ্ঠানটির নজরদারির পাশাপাশি দিক নিদের্শনার মাধ্যমে রেগুলেট করার জন্য অর্থমন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। অর্থমন্ত্রণালয় এটা গ্রহণ করেছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কমিশনার স্বপন কুমার বালা, কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম, ডিএসই’র এমডি কেএএম মাজেদুর রহমান, সিএসইর এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার প্রমুখ।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠানে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবির) এমডি বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন এনালাইসিস করে পরিকল্পনা নিয়ে বাজারে বিনিয়োগ করবেন। নিজে কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে বুঝে বিনিয়োগ করবেন। না বুঝে বিনিয়োগ করে অন্যের ওপর দোষ চাপাবেন না।

বাংলাদেশ মাচেন্ট ব্যাকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছয়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার শক্তিশালী হচ্ছে। নেতিবাচক অবস্থা থেকে বাজার উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কমিশনের উচিৎ এখন বাজারের বাধাগুলো দূর করে ভাল ভাবে রেগুলেশন করা।

বিআইসিএমের নির্বাহী পরিচালক হান্নান জোয়াদা বলেন, বাজারকে ঠিক রাখতে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি। কিন্তু আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা রিটেল ইনভেস্টরের মতো আচরণ করছে। কমিশনের উচিৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, শিক্ষিত করা। পাশাপাশি বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বৃদ্ধি করা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাজেদুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগ শিক্ষার বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসইসি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন এখন ‘ইফেক্টিভ পুঁজিবাজার’। প্রয়োজন ব্যাংক ও ফাইনেন্সের বিকল্প সোর্স থেকে সুদ টাকা নিয়ে ব্যবসা করা। অর্থাৎ ব্যাংক ও ফাইন্যান্সের অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট হতে পারে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
এমএফআই/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।