ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের উত্তম স্থান পুঁজিবাজার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৭
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের উত্তম স্থান পুঁজিবাজার

ঢাকা: বিদেশিদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরবর্তী গন্তব্য হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বিনিয়োগের উত্তম স্থান হলো পুঁজিবাজার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে ‘প্রমোটিং ইনভেস্টর প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ থ্রো গুড গভর্নেন্স অ্যান্ড রেগুলেটরি মেজারস’ শীর্ষক এ সেমিনারটির আয়োজন করে বিআইসিএম।

বিএসইসি’র চেয়ারম্যান বলেন, সরকার মনে করে দীর্ঘ ও মধ্য মেয়াদের অর্থ সরবরাহের সব থেকে ভালো জায়গা পুঁজিবাজার। আমরা যদি পদ্মাসেতুর মতো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিংবা বড় বড় কেন্দ্র খোলার জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সরবরাহ করতে পারি, তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রধান চালক। টাকা বিনিয়োগের আগে এ বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান-অর্জন করা প্রয়োজন। বিনিয়োগের জন্য যেমন পুঁজির প্রয়োজন, তেমনি এ পুঁজি মুহুর্তেই বিলিন হয়ে যেতে, যদি বিনিয়োগ সুরক্ষা করা না যায়। কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে, কখন বিনিয়োগ করতে হবে, কাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে, কোম্পানির লভ্যাংশের চিত্র কি বিনিয়োগকারীদের সবকিছুই পর্যালোচনা করতে হবে।

বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন উল্লেখ করে খায়রুল হোসেন বলেন, আমাদের মার্কেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত কম। ভারতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের ওপরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। আমাদের এখানে মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশের মতো। কাজেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

সেমিনারের প্যানেলিস্ট আলোচক হিসেবে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান বলেন, আমাদের দেশে ভালো স্টক খুব কম। যে কারণে অল্প কিছু কোম্পানিতে বিনিয়োগ পুঞ্জিভূত হচ্ছে। এতে অনেক শেয়ার দাম অভার প্রাইজড (অতিমূল্যায়িত) হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে হবে।

তিনি বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি বা কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ভালোভাবে বোঝা সম্ভব না। তাই বাহিরের দেশে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ করে। কিন্তু আমাদের দেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর অবস্থা ভালো না। ফান্ড ম্যানেজারদের ব্যর্থতায় অনেক ভালো উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে গেছে।

বিআইসিএমর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জোয়ারদারের সঞ্চলনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী প্রমুখ।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইসিএম’র সহযোগী অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র দেবনাথ।

মূল প্রবন্ধে নিতাই চন্দ্র বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর কিছু অধিকার ও ঝুঁকি রয়েছে। দেশের বিদ্যমান আইনেও বিনিয়োগকারীদের অধিকারের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা তাদের অধিকার ও ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন নয়। তাদের সচেতন করতে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭
এমএফআই/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।