ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বন্ড ছাড়ার অনুমতি পাচ্ছে মার্চেন্ট ব্যাংক!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
বন্ড ছাড়ার অনুমতি পাচ্ছে মার্চেন্ট ব্যাংক! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আর্থিক সহায়তায় বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিলে সেখানে সহায়তা করতে পারে সরকার। তবে তাদের নেগেটিভ ইক্যুইটির ছয় হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে না।

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আর্থিক সহায়তায় বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিলে সেখানে সহায়তা করতে পারে সরকার। তবে তাদের নেগেটিভ ইক্যুইটির ছয় হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে না।


 
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের সংগঠন ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) নব নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।
 
অর্থমন্ত্রী এ সময় বন্ড ছেড়ে ফান্ড সংগ্রহের বিষয়ে ডিবিএ’র কাছে প্রস্তাবনা চান। বিষয়টি নিয়ে বিএসইসিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।

একই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে অর্থমন্ত্রণালয়ে সূত্র জানায়।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে এডিবির অর্থায়ন, কর অবকাশ সুবিধার বিষয়ে বিএসইসি ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারি শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বাজার ধসের পর বেশ সংস্কার কাজ চলেছে। ফলে এ সময়ে সরকারি শেয়ার ছাড়া হয়নি। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে, ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়। ডিবিএর পুরস্কারের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ। মানুষ পুরস্কার দিলে খুশি হয়।
 
২০১০ সালের শেয়ার বাজার ধসের পরে মার্জিন ঋণ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সে সময় সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী বিনিয়োগকারীর ঋণের বিপরীতে শেয়ারের দাম কমে গেলেও তা বিক্রি করে সমন্বয় করেনি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউসগুলো। পরবর্তীতে শেয়ারের দাম এতো বেশি কমে গেছে যে, গ্রাহকের নিজস্ব মূলধন ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। ফলে তাদের সব শেয়ার বিক্রি করেও ঋণ সমন্বয় করা সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় গ্রাহক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে এড়িয়ে চলছেন।

অন্যদিকে এ ঋণে সংশ্লিষ্ট ব্রোকার হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ১০ হাজার কোটি টাকা আটকে যায়। পরবর্তীতে কিছু শেয়ার বিক্রি করে চার হাজার কোটি টাকা ফেরত পেলেও এখনো আটকে আছে ছয় হাজার কোটি টাকা। এতে করে বাজারে গতি ফিরে পাচ্ছে না।
 
তাই বাজারে গতি ফিরিয়ে আনতে ডিবিএ সভাপতি রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী অর্থমন্ত্রীর কাছে ৫-৬ শতাংশ সুদে ছয় হাজার কোটি টাকা চান। এ সময় অর্থমন্ত্রী ডিবিএ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বন্ড ইস্যুর অধিকার পেলে সেটাতে কিছু হতে পারে।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড প্রোমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদ সাদেক এবং সহ সভাপতি মডার্ন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিনসহ অন্য পরিচালকরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
এসই/জিপি/জেডএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।