ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন পেলো সামিট পাওয়ার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৬
মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন পেলো সামিট পাওয়ার 

ঢাকা: সামিট পাওয়ার লিমিটেডকে মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
 
গত ২৮ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনের জটিলতার অবসান হচ্ছে।  

কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

জানা যায়, সামিট পাওয়ারকে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ১৯ কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৮টি শেয়ার ইস্যু করে ১৯১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ১৮০ টাকা মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।  

ক্যাপিটাল ইস্যু রুলস-২০০১ এর ৬ এর ‘এ’ ধারা অনুযায়ী, নতুন ইস্যু করা শেয়ারের ৫ শতাংশের উপরে থাকা পরিচালকদের শেয়ার ৩ বছরের জন্য লকইন থাকবে। বাকি সবার ১ বছরের জন্য লকইন থাকবে। গত ২৪ আগস্ট উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সামিট পূর্বাঞ্চলের শেয়ার তালিকাচ্যুত করা হয়।

এদিকে সামিট পাওয়ারের সঙ্গে গ্রুপের ৩ কোম্পানি একীভূতকরণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া জটিলতায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে বন্ধ আছে কোম্পানির লেনদেন। শিগগিরই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের কাছে শেয়ার জমা হলেই লেনদেন চালু হবে।  

কোম্পানিটিকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানির (এসপিপিসিএল) তালিকাচ্যুতিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় গত ২৭ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য সামিটের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ।

এ সংক্রান্ত বিএসইসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমার পর বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানিটির লেনদেনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, এসপিপিসিএল তালিকাচ্যুত হয়ে সামিট পাওয়ারে একীভূত হলেও সামিট যথাসময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার বিপরীতে মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন নেয়নি। এ জটিলতায় এসপিপিসিএল তালিকাচ্যুত হয়ে গেলেও এর শেয়ারহোল্ডাররা সামিট পাওয়ারের শেয়ার বুঝে পাননি। এদিকে স্টক এক্সচেঞ্জও আগের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে একীভূতকরণের অংশ হিসেবে এসপিপিসিএলকে তালিকাচ্যুত করে।

এরপর সামিট পাওয়ার কর্তৃপক্ষ পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছে। আরএজএসসিতে সম্পদ মূল্যায়নে ভ্যালুয়ারের প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও হাতে পেয়েছে কোম্পানিটি।

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় আদালতের আদেশ অনুযায়ী, সবকিছু পরিপালন হলে দ্রুতই কমিশন সামিট পাওয়ারকে মূলধন বৃদ্ধির অনুমতি দিতে পারে। এরপর এসপিপিসিএলের শেয়ারহোল্ডারদের নামে সামিট পাওয়ারের শেয়ার ইস্যু হলেই লেনদেনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।