ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সালতামামি

নেত্রকোনায় এক বছরে ২৬১টি অস্বাভাবিক মৃত্যু 

আব্দুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
নেত্রকোনায় এক বছরে ২৬১টি অস্বাভাবিক মৃত্যু 

নেত্রকোনা: ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে নেত্রকোনা জেলায় ২৬১টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।  

এসব ঘটনায় বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়।

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় জনমনে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এছাড়াও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে হত্যা, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা, বিষপানে আত্মহত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ও পানিতে ডুবে মৃত্যু।

সচেতন বিশ্লেষকদের মতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়েও অনেক বেশি। কারণ অনেক সময় নিভৃতপল্লী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে মৃত্যু, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ মারা গেলে পুলিশি হয়রানি কিংবা ময়নাতদন্তে কাটা ছেঁড়ার ভয়ে প্রশাসনকে না জানিয়ে অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করায় সরকারি হিসেবে নথিভুক্ত হয় না।

 নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্রমতে, নেত্রকোনা জেলায় ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ১১টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ১২টি, মার্চ মাসে ২৮টি, এপ্রিল মাসে ২১টি, মে মাসে ২৫টি, জুন মাসে ২৩টি, জুলাই মাসে ২৭টি, আগস্ট মাসে ২৯টি, সেপ্টেম্বর মাসে ৩০টি, আক্টোবর মাসে ১৬টি, নভেম্বর মাসে ২০টি ও ডিসেম্বর মাসে ১৯টিসহ মোট ২৬১টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নিয়ে নেত্রকোনায় কাজ করা সাংবাদিক এ কে এম আব্দুল্লাহ্ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে সবার আগে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, জেলা পরিবহন মালিক সমিতি ও জেলা মোটরযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে সব ধরনের যানবাহন চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ গাড়িচালক তৈরি করার পাশাপাশি রাস্তায় কিভাবে গাড়ি চালাতে হয় সেসব নিয়ম কানুন সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অদক্ষ এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় কেউ যেন গাড়ি না চালায় এবং ট্রাফিক আইন যাতে সবাই মেনে চলে তার জন্য ট্রাফিক বিভাগকে আরও সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

নেত্রকোনা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোবারক হোসেন বলেন, আমরা বাস ট্রাক চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ চালক হেলপার ও পথচারীদের স্ব স্ব স্থান থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।  

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ কল্পে নিরাপদ আইন বাস্তবায়নে আমরা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে চালক, হেলপার ও পথচারীদের মাঝে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পুলিশ বিভাগ সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই মামলা নিচ্ছে এবং অভিযুক্ত চালকদের গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।