ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালতামামি

ফিরে দেখা-২০১৮

বিগত বছর ছাড় দিয়ে গেলো প্রকৃতি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৯
বিগত বছর ছাড় দিয়ে গেলো প্রকৃতি ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: দেশবাসীকে তেমন কোনো বড় ঝড়, বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডবে পড়তে হয়নি ২০১৮ সালে। প্রকৃতি অনেকটা ছাড় দিয়েই গেছে। যদিও বছরের শুরুতে তাপমাত্রা একদিনের জন্য শূন্যের বেশ কাছাকাছিই চলে এসেছিল।

২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হয়েছিল। ওই দিন ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল।

২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমেই আবার ওঠে এসেছিল ওপরের দিকে। তবে বেশ কিছু ৫ ডিগ্রির আশ-পাশেই ব্যারোমিটারের পারদ ঘোরাফেরা করেছে। তীব্র শৈত প্রবাহের স্থায়িত্ব কম হওয়ায় ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ তেমন ছিল না।

বর্ষা মৌসুমেরও এবার তেমন কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি। তবে বর্ষা লম্বা হওয়ায় দেশবাসীর ভোগান্তি একটু বেশি ছিল। তবে প্রাণহানি হয়েছে বেশ। বজ্রপাতে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুইবার বন্যা হলেও ২০১৬ বা ২০১৭ সালকে ছাড়িয়ে যায়নি। বরং অল্পদিনেই পানি নেমে গেছে বিপদসীমার নিচে। ফলে নদী ভাঙনওও কম হয়েছে।

অন্যদিকে দুটো সামুদ্রিক ঝড় তিতলি, গাজা এবং ফেথাই বেশ পরিক্রমশালী হলেও তা উপকূলের দিকে আসতে আসতেই শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। অক্টোবরের তিতলি হারিকেল শক্তি ধারণ করেছিল। এটি ভারতের তামিলনাড়ু দিয়ে ঢুকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উত্তরাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছিল। কয়েকদিন টানা বর্ষণ আর বাতাস ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে তামিলনাড়ু ও আশ-পাশের এলাকার অন্তত ১৫ জনের প্রাণ নিয়েছিল। আর নভেম্বরের গাজা আর ডিসেম্বরের ফেথাইও তামিলনাড়ু উপকূলে হানা দিয়ে ছাড় দিয়ে যায় বাংলাদেশের উপকূলকে। এই দু’টি ঝড়েও বাংলাদেশে কোনো প্রাণহানি না হলেও ভারতের অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়।

আর ডিসেম্বর শেষেও শীতের তেমন তীব্রতা দেখা যায়নি। তাই সবমিলিয়ে ২০১৮ সালে প্রকৃতির এক বিশাল ছাড়ের মধ্য দিয়ে গেছে দেশবাসী। অথচ ২০১৭ সালেই বজ্রপাতে মৃত্যু, বন্যা, শৈত প্রবাহ, ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাপক মূল দিতে হয়েছিল। ২০১৭ সালে বজ্রপাতে ১শ জনের বেশি আর একদিনেই ১৭ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছিল।

২০১৭ সালের বন্যায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৪৮ সালের মধ্য সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল। ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ে অনেকের বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।