ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর চেনার ১৩টি উপায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৬
মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর চেনার ১৩টি উপায়

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে শবেকদর সন্ধান করো। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তোমরা শবেকদর সন্ধান করো।

-সহিহ বোখারি

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে কদরের রাতে দণ্ডায়মান হয়, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

যে রাতটি লাইলাতুল ক্দর হবে সেটি বুঝার কিছু আলামত সে রাতের কিছু আলামত হাদিসে বর্ণিত আছে। সেগুলো হলো-

এক. এ রাতটি রমজান মাসে। আর এ রাতের ফজিলত কিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে।

দুই. এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর। -সহিহ বোখারি

তিন. আর এটি রমজানের বেজোড় রাতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ কর। -সহিহ বোখারি

চার. এ রাত রমজানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর (কদরের রাত) অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমজানের শেষ সাত রাতের মধ্য তা অন্বেষণ করে। ’

পাঁচ. রমজানের ২৭ শে রজনী লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

ক. হাদিসে আছে, উবাই ইবনে কাব হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন যে, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসূল (সা.) আমাদেরকে যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হল রমজানের ২৭ তম রাত। -সহিহ মুসলিম

খ. হজরত আবদুল্লাহ বিন উমার থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমজানের ২৭ রজনীতে অনুসন্ধান করে। -আহমাদ

গ. কদরের রাত হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনার দিক থেকে পরবর্তী দ্বিতীয় সম্ভাবনা হল ২৫ তারিখ, তৃতীয় হল ২৯ তারিখে। চতুর্থ হল ২১ তারিখ। পঞ্চম হল ২৩ তারিখের রজনী।

ছয়. সর্বশেষ আরেকটি মত হলো- মহিমান্বিত এ রজনীটি স্থানান্তরশীল। অর্থাৎ প্রতি বৎসর একই তারিখে বা একই রজনীতে তা হয় না এবং শুধুমাত্র ২৭ তারিখেই এ রাতটি আসবে তা নির্ধারিত নয়। আল্লাহর হিকমত ও তার ইচ্ছায় কোনো বছর তা ২৫ তারিখে, কোনো বছর ২৩ তারিখে, কোনো বছর ২১ তারিখে, আবার কোনো বছর ২৯ তারিখেও হয়ে থাকে।

সাত. রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

আট. নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

নয়. মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

দশ. সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

এগারো. কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

বারো. ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

তেরো. সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত। -সহিহ ইবনু খুজাইমা: ২১৯০; বোখারি: ২০২১; মুসলিম: ৭৬২

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘন্টা, জুলাই ০২, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।