ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

২০০ বছরের পুরাতন খুলনার তালিমপুর জামে মসজিদ

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
২০০ বছরের পুরাতন খুলনার তালিমপুর জামে মসজিদ

খুলনা: বিভাগের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো তালিমপুর জামে মসজিদ। এটি রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের তালিমপুর গ্রামে অবস্থিত।

১৮২০ সালে মসজিদটি স্থাপিত হয়। প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এ মসজিদটিতে রয়েছে হেফজখানা। যেখানে গেলেই দিন রাত শোনা যায় পবিত্র কোরআনের ধ্বনি।

পুরাতন রূপসা-বাগেরহাট সড়কের পাশ থেকে যাওয়ার পথে মসজিদটির প্রবেশপথে দুইটি মিনার বিশিষ্ট নান্দনিক সৌন্দর্যের গেট রয়েছে। যা এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের মুগ্ধ করে। দূর-দূরান্ত থেকে এ মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন মুসল্লিরা।

নতুন নতুন মসজিদের পাশাপাশি প্রাচীন আমলের এ মসজিদটির ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে রূপসা উপজেলা জুড়ে। অনেকে মনে করছেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের এক অন্যান্য নিদর্শন হতে পারে তালিমপুর জামে মসজিদ।

মসজিদটির ইতিহাস জানতে সরেজমিনে তালিমপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, মসজিদটি কে নির্মাণ করেছিলেন তার সঠিক ইতিহাস এখনও অজানা। তবে মসজিদটির গায়ে লেখা রয়েছে, তালিমপুর জামে মসজিদ, স্থাপিত ১৮২০ সাল।

মসজিদটি সম্পর্কে তালিমপুর জামে মসজিদের অর্থ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, তালিমপুর জামে মসজিদটি অনেক পুরানো মসজিদ। এটা ১৮২০ সালে নির্মাণ করা হয়। তখন এটি মাটির দেওয়ালের মসজিদ ছিল। ওপরে ছিল টিন।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে প্রয়াত আকবর আলী চেয়ারম্যান দীর্ঘ দিন অবহেলিত থাকা মসজিদটি পাকা করার কাজে সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে মসজিদটি দোতলা থেকে তিনতলা হয়েছে। ১৮২০ সালের দিকে এ অঞ্চলে আর মসজিদ ছিল না। আমরা জানতে পেরেছি, সামন্তসেনা ও জাবুসা থেকে সে সময় মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসতেন এ মসজিদে।

তালিমপুর ফাতেমাতুজ্জোহরা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার সভাপতি এস এম এ হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, তালিমপুর জামে মসজিদ খুলনার মধ্যে অন্যতম পুরাতন মসজিদ। এ মসজিদে প্রায় ৩০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে একটি হেফজখানা রয়েছে। যেখানে ছাত্ররা পবিত্র কোরআনের হাফেজ হচ্ছেন।

মসজিদটি প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে বলেন, এই মসজিদটিকে আমার ছোটবেলায় গোলপাতার চাল এবং টিনের বেড়া বিশিষ্ট মসজিদ হিসেবে দেখেছি। তখন এটি ছিল মাটির।

এ এলাকার মুসলমানদের প্রাচীন এ ইবাদতখানাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ঐতিহ্যের স্বারক হিসেবে মসজিদটিকে আধুনিকায়ন করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
এমআরএম/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।