ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিয়ানীবাজার কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
বিয়ানীবাজার কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু ছবি: মাহমুদ হোসেন

সিলেট: পাঁচ বছর পরিত্যক্ত থাকা সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রের এক নম্বর কূপ থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে (গ্রিডে) গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।

 

বিয়ানীবাজার গ্যাস কূপের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক রেখে আমরা সন্ধ্যা ৬টা থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে পেরেছি। এখন এ কূপ থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। যদিও আমরা ১১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাপ সফলভাবে পরীক্ষা করেছি। এরপরও আমরা সুরক্ষিত (সেফ) থাকতে চা্ই। এজন্য সরবরাহ ৮ মিলিয়নে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার (২৭ নভেম্বর) দিনগত রাতে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গ্যাস সরবরাহের টার্গেট ছিল। কিন্তু কারিগরি দিক থেকে ক্লিনআপ করতে গিয়ে সারা রাত কাজ করতে হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে গ্যাস ফ্লেয়ারিং হয়ে গেছে। ওয়েল ক্লিনআপে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগায় জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  

বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের এক নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৬ সালে ফের উত্তোলন শুরু হলে ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়।

২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুদ পায়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনঃখনন কাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। কূপে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিতের পর গত ১০ নভেম্বর থেকে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

বর্তমানে কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুদ আছে এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে, কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাসও পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।