ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম দরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২১
নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম দরকার

ঢাকা: নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয় থেকে অনলাইনে টীম ইউরোপ গ্রীন এনার্জি ইনিসিয়েটিভ (TEI-Green Energy) এর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম প্রয়োজন। সৌর বিদ্যুৎ প্রসারে ভারত বা আফগানিস্তানে বিদ্যমান সুবিধা কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন গ্রিড ব্যবস্থার আধুনিকায়ন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেপথ্যে অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতি এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ বাড়াতে এমন উন্নত প্রযুক্তি লাগবে যা অল্প জায়গায় স্থাপন করা যায়। টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা সৃজনের জন্য প্রয়োজন উন্নত দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়, পলিসি ডায়লগ ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ।

এসময় তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৭২২.১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। নেপাল ও ভূটান থেকে জল বিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়টি চলমান। অন্যদিকে শীতকালে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানিও করা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। ৫.৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যার অর্ধেক মূল্য সরকার পরিশোধ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরাম (CVF)-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ গ্রীন ও ক্লীন এনার্জির প্রসারে আরো নিবেদিত হয়ে কাজ করছে। এনার্জি ট্রানজিশনের এই পর্যায়ে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য খাতের প্রসারে কারিগরি ও আর্থিক বিনিয়োগ করে সহযোগিতা করতে পারে।

অনলাইন সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের প্রতিনিধি ডরিও ট্রমবিটা (Dario Trombetta), কোয়েন ইভারিয়ার্ট (Koen Everaert), তানজিনা দিলসাদ (Tanzina Dilshad), চিয়ারা ভিডুসী (Chiara Vidussi), রয়েল নরওয়ে অ্যাম্বাসির ক্রিসটিন টি. ওয়ারিংসাসেন (Kristin T. Waeringsaasen), সুইডেন এ্যম্বাসির মাহবুবুর রহমান (Mahbubur Rahman), মারকোস জোহান্নেসন (Marcus Johannesson), ইউরোপীয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক নয়া দিল্লির ডোনাল ক্যানন (Donal Cannon), কেএফডাব্লিউ-এর অনির্বাণ কুণ্ডু (Anirban Kundu), জিআইজেড-এর এঞ্জেলিকা ফ্লিডারম্যান (Angelika Fleddermann), মুদাব্বির আনাম, (Mudabbir Anam) জার্মান অ্যাম্বাসির শেখ মাহমুদুল আহসান (Shaikh Mahmudul Ahsan) এবং ইআইবি-এর কেটরিন বুক (Katrin Bock)।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
আরকেআর/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।