ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

দেশের সবচেয় বড় ‘গ্র্যাব শিপ আনলোডার মেশিন’ পায়রায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
দেশের সবচেয় বড় ‘গ্র্যাব শিপ আনলোডার মেশিন’ পায়রায়

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে এসে পৌঁছালো চারটি ‘গ্র্যাব শিপ আনলোডার মেশিন’। চায়না থেকে আমদানি করা বাংলাদেশর ‘সর্ব বৃহৎ’ এ আনলোডার মেশিনগুলো দিয়ে দ্রুত সময়ে কয়লা, লাইমস্টোন খালাস করা যাবে।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেশিন চারটি বহনকারী জাহাজ ‘শিনচেন ওশান’ পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জেটিতে এসে পৌঁছায় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- পায়রা সমুদ্র বন্দরের পক্ষে ক্যাপটেন আসিফ আহম্মেদ এবং ক্যাপ্টেন শরীফুর রহমান ও তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে চায়না ন্যাশনাল এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিইসিসি) প্রকল্প পরিচালক হ্যান লি গুয়া, বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (বিসিপিসিএল) নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াং ঝি, নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্ত) মো. রেজওয়ান ইকবাল খান, সহকারী প্রকৌশলী পিঞ্জুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ মনি জিকো প্রমুখ।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উন্নয়ন কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত বিসিপিসিএল’র নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্ত) রেজওয়ান ইকবাল খান বাংলানিউজকে বলেন, গ্র্যাব শিপ আনলোডার মেশিনগুলো চায়না থেকে ২৫ হাজার টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন শিনচেন ওশান জাহাজে করে পায়রা বন্দরে আনা হয়েছে। সাগর পথে পায়রা বন্দরে এসে পৌঁছাতে মেশিন বহনকারী জাহাজের ২০ দিনের মতো সময় লেগেছে। এ মেশিন প্রস্তুত করেছে চায়নার ডালিয়ান হুয়ারুই হেভি ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ লিমিটেড।

এতো বড় আনলোডার মেশিন বাংলাদেশের জন্য এটাই প্রথম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মেশিনের বুমের দৈর্ঘ্য ৩২ মিটার এবং উচ্চতা ৪৮ মিটার।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, পায়রা বন্দর থেকে আনলোডার মেশিনটি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান জেটিতে আনতে রাবনাবাদ চ্যানেলের ৭ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা তৈরি করা হয়েছে। এজন্য তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান জেটি থেকে আন্ধারমানিক নদের মোহনা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার নদী এলাকা জুড়ে খনন করে গভীরতা সৃষ্টি করা হয়েছে। তা ছাড়া এ অংশে ৫০০ মিটার প্রশস্ত করা হয়েছে।

গত ১০ দিন ধরে রাবনাবাদ চ্যানেলের গভীর ও প্রশস্ত করতে ড্রেজিংয়ের কাজ করা হয়েছে। এর আগে এ অংশে রাবনাবাদের গভীরতা ছিল সাড়ে ৪ মিটার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।