ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে সরকার: খালেদা জিয়া

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১১
বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে সরকার: খালেদা জিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জে খালেদা জিয়ার সমাবেশস্থল থেকে: প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে। প্রকৃতপক্ষে বিদ্যুৎ খাতের কোনো উন্নয়ন হয়নি।

উন্নয়নের নামে লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পকেট ভারি করা হয়েছে। গ্রামের জনগণ আগে বিদ্যুতের অভাবে কেরোসিন জ্বালাতো, এখন তাও পারছে না। কারণ কেরোসিনের দামও বাড়ানো হয়েছে। আমাদের সময় ছিল ৩৩ টাকা। আর এখন ৫০টাকা।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪দলের উত্তরাঞ্চল অভিমুখে রোডমার্চের শেষ দিন বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ৪দলীয় জোটের এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখনও মানুষ বিদ্যুতের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিল্প কারখানা। বেকার হয়ে যাচ্ছে শ্রমিক কর্মচারী। আর সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের নামে লুটপাট চালাচ্ছে। বিনা টেন্ডারে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র। ভবিষ্যতে যাতে তাদের অপকর্মের বিচার না করা যায় তার জন্য তারা এজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশও পাশ করেছে। কিন্তু এই অধ্যাদেশ তাদের রক্ষা করতে পারেবে না। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব লুটপাটের পুরো হিসাব নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেছেন, উন্নয়নের কথা বলে শুধু বিদ্যুত খাতের নয়, রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কথা বলে মন্ত্রী এমপিদের পকেট ভারি করা হচ্ছে। যোগাযোগমন্ত্রী পদ্মাসেতুর টাকা পকেটে ভরেছেন। আর লুটপাটের কারণেই অনিশ্চিত হয়েছে পদ্মাসেতু। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ দুর্নীতির তদন্ত করতে বলেছে, কিন্তু যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, `আমার বিচার করবে কে?` তিনি তো ঠিকই বলেছেন, কারণ তার হাত ধরেই টাকা গেছে যিনি এ বিচার করবেন তার কাছে। আর সে কারণেই তিনি এ বিচার করতে পারবেন না।

দেশের জনগণ কষ্টে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে খাবার দিতে পারছেন না। জনগণ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। অথচ সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বিশাল বহর নিয়ে বিদেশ সফরে ব্যস্ত রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দেশ প্রেম নেই। দেশপ্রেম থাকলে তার ছেলে মেয়েরা দেশেই থাকতো। তারা দেশেও নেই, এমনকি বিয়েও করেছে বিদেশে। তার দেশপ্রেম থাকতে পারে না। সে কারণে জনগণের প্রতি কোনো দায়িত্ব নেই।

উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ অভিমুখে এই রোডমার্চ শুরু করে চারদলীয় জোট। প্রথম রোডমার্চটি হয় ১০অক্টোবর সিলেট অভিমুখে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।