ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সোলার হোম সিস্টেম সুবিধায় ৪২ লাখ পরিবার

উর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
সোলার হোম সিস্টেম সুবিধায় ৪২ লাখ পরিবার মফস্বলের একটি বাড়িতে ‘সোলার হোম সিস্টেম’ প্যানেলের নমুনা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: প্রত্যন্ত অঞ্চল বা দুর্গম চরাঞ্চলের যেখানে গাড়ি যায় না, যেখানে বিদ্যুতের খুঁটিও পৌঁছায় না, সেখানে পৌঁছে গেছে বিজলি বাতি আর ফ্যান। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের (সোলার হোম সিস্টেম) সুবিধায় সেখানে জ্বলে আলো, চলে ফ্যান। যে কারণে ওই দুর্গম চরাঞ্চল বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভিভাবকদের আর চিন্তা করতে হয় না সন্তানের পড়ালেখার নিরবচ্ছিন্ন আলো সরবরাহের জন্য। 

দেশে বর্তমানে এমন সোলার হোম সিস্টেম সুবিধার আওতায় রয়েছে প্রায় ৪২ লাখ পরিবার। দুর্গম অঞ্চলের পরিবারগুলোর জন্য এই অভাবনীয় সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকারি মালিকানাধীন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)।

সোলার হোম সিস্টেম পেতে আগ্রহী পরিবারগুলোকে তারা যেমন দিচ্ছে কারিগরি সহায়তা, তেমনি দিচ্ছে অর্থনৈতিক সহায়তাও।
 
ইডকলের স্যোলার হোম সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্যানেল স্থাপন করে একটি পরিবার ৩টি থেকে ৫টি লাইট, তিনটি ফ্যান চালাতে পারে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিডেট আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে স্টল সাজিয়ে এই সোলার হোম সিস্টেম দেখাচ্ছে ইডকল। পাশাপাশি দেখাচ্ছে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, ইরিগেশন সিস্টেম।  

ইডকলের স্টলে গিয়ে দর্শনার্থীদের ভিড়ও লক্ষ্য করা যায়। সেখানে দর্শনার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন ইডকলের প্রমোশন অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার রাসেল আহমেদ।

ইডকলের স্টলে ‘সোলার হোম সিস্টেম’ প্যানেলের নমুনা নিয়ে কথা বলছেন প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা।  ছবি: ডিএইচ বাদলতিনি বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, নরসিংদীর রায়পুরা ও ভোলার মনপুরায় সোলার হোম সিস্টেমের চাহিদা বিপুল। এর মাধ্যমে এখন এমন সব চরের মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে, যেসব চরে কখনো কল্পনাও করা যায়নি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলবে।

রাসেল আহমেদ জানান, সেচ কাজে প্রায় তিন লাখ ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে মাত্র ৬২৯টি এখন সৌরবিদ্যুতে চলছে। আমরা চাই আগামীতে এই তিন লাখ ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন সৌরবিদ্যুতে চলবে।

স্টলে ভিড় জমানো কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, কেবল প্রত্যন্ত অঞ্চলেই নয়, শহরের বাসা-বাড়িতেও প্রয়োজনে বিদ্যুতের বড় যোগান দিতে পারে এই সোলার হোম প্যানেল। ফলে মানুষের খরচ যেমন কমবে, ঠিক তেমিন উৎপাদন খাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোও সম্ভব হবে।  
 
স্যাভরের উদ্যোগে বিআইসিসিতে বৃহস্পতিবার (১১ মে) শুরু হয়েছে ‘নিরাপদ নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ বিষয়ক এ প্রদর্শনী। তিন ব্যাপী প্রদর্শনীটি চলবে শনিবার (১৩ মে) পর্যন্ত। প্রদর্শনীটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
ইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।