ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুতের খুচরা দামও বাড়ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪
বিদ্যুতের খুচরা দামও বাড়ছে ছবি:ফাইল ফটো

ঢাকা: এবার গ্রাহক পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিনটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) দেওয়া প্রস্তাবে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত অক্টোবর মাসে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (১৭ নভেম্বর) পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ও ওয়েস্ট পাওয়ার জোন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে।

অপর দুটি বিরতণ সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) চলতি সপ্তাহেই প্রস্তাবনা জমা দেবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

বিইআরসির সদস্য সেলিম মাহমুদ তিনটি কোম্পানির দাম বৃদ্ধির আবেদন পাওয়ার কথা বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পাইকারি দাম বাড়লে যদি খুচরা না বাড়ানো হয় তাহলে কোম্পানিগুলো লোকসানের শিকার হবে। তাই যাই করা হোক একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

পিডিবি স‍ূত্র জানিয়েছে, পাইকারি পর্যায়ে বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৪ টাকা ৭০ পয়সা। দাম বাড়িয়ে ৫ টাকা ৫১ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থ-বছরে প্রতি ইউনিটে পিডিবির ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৬ টাকা ৫৪ পয়সা। দাম বৃদ্ধির পরও ঘাটতি হবে ৪ হাজার কোটি টাকা।

বিগত কয়েক বছর ধরেই লোকসান দিয়ে যাচ্ছে পিডিবি। ঘাটতি মেটাতে পিডিবিকে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলা হলেও মূলত ঋণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, সরকারের মধ্যমেয়াদী প্রকল্পগুলোর কাজ যথাসময়ে শেষ হয়নি। তাই তেল ভিত্তিক এবং কুইক রেন্টাল থেকে উচ্চদরে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে। যে কারণে দফায় দফায় দাম বাড়িয়েও লোকসান ঠেকানো যাচ্ছে না।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ মার্চ গ্রাহক পর্যায়ে ৬.৯৬ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করে বিইআরসি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় (২০০৯ থেকে) এসে গ্রাহক পর্যায়ে ৭ বার আর পাইকারি পর্যায়ে ৬ দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি এক সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমি দাম বাড়ানোর পক্ষে নই। দাম বাড়ানো নয়, এটাকে মূল্য সমন্বয় বলতে হবে। কারণ উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে সেটা সমন্বয় করা হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশেই এভাবে মূল্য সমন্বয় করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।