ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

দুর্নীতির কথা স্বীকার করলেন আরইবি চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৪
দুর্নীতির কথা স্বীকার করলেন আরইবি চেয়ারম্যান ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (আরইবি) দুর্নীতি হচ্ছে। তা জেনে হোক কিংবা অজানাই হোক।

এটি ঠেকাতে হবে। না হলে সব অর্জন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শনিবার সকালে আরইবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার মঈন উদ্দীন দুর্নীতির কথা স্বীকার করে বলেন, স্তরে স্তরে দুর্নীতি হচ্ছে। এতে আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

মঈন উদ্দীন বলেন, আমরা শনিবার সকালে সব সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন দুর্নীতির কথা। কিছু কিছু এলাকায় সমিতির উপদেষ্টা, পরিচালক ও লাইনম্যানরা বাড়ি গিয়ে সংযোগ দেওয়ার কথা বলে টাকা নিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা দুর্নীতি বন্ধে সেখানে শপথ নিয়েছি। এই দুর্নীতি আর হতে দেওয়া হবে না। এজন্য মাইকিং করা হবে এবং পোস্টার ছাপানো হবে। এছাড়া ডিস চ্যানেল, পত্রিকা ও টিভির মাধ্যমে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে প্রচার করা হবে সংযোগ পেতে কেউ যেন টাকা না দেন। যাদের সংযোগ প্রয়োজন তারা যেন আবেদন করেন।

আরইবি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দুর্নীতি জিরো টলারেন্স সম্ভব না। পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রই পারেনি। তবে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব। যে দুর্নীতির কথা শোনা যাচ্ছে এটাকে রোধ করতে হবে।

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নসরুল হামিদ বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সফলতা নির্ভর করছে আপনাদের ওপর। আপনারাই পারেন মুখ উজ্জ্বল করতে।

তিনি বলেন, আজকে আমি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কথা শুনতে এসেছি। নিজেকে এডুকেটেড করতে চাই। আপনাদের পরামর্শ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে।

সভায় লোডশেডিংয়ের কথা তুলে ধরে মঈন উদ্দীন বলেন, ইদানিং লোডশেডিং প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে গতমাস ও চলতি মাসে লোডশেডিং অনেকে বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, গত ১৭ জুন আরইবির সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়েছে ২ হাজার ৫৬৪ মেগাওয়াট। এদিন চাহিদা ছিল ৩ হাজার ৬৩৫ মেগাওয়াট।

তিনি আরও বলেন, আরইবির চাহিদা সারাদেশের মোট চাহিদার অর্ধেকের বেশি। উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৫০ শতাংশ সরবরাহ করতে হবে। সেখানে কমবেশি ৪০ শতাংশ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে আমরা কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।