ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আগে টাকা পরে বিদ্যুৎ

মফিজুল সাদিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৩
আগে টাকা পরে বিদ্যুৎ

ঢাকা: মোবাইল ফোনের মতো এবার বিদ্যুৎ খাতেও চালু হতে যাচ্ছে প্রিপেইড মিটার সিস্টেম। গ্রাহকরা যত টাকা জমা দেবেন সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাবেন।

টাকার পরিমাণ শেষে মোবাইল ফোনের মতো বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হবে।

‘প্রি-পেমেন্ট মিটারিং’ প্রকল্পের আওতায় এ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।

মঙ্গলবার শেরে বাংলানগরস্থ পরিকল্পনা কমিশনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি কোথাও চালু থাকলেও এবারই প্রথম পাইলট প্রকল্পের আওতায় পদ্ধতিটি বড় পরিসরে শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথমে ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়া ও নারায়ণগঞ্জে প্রকল্পটি চালু করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড(ডিপিডিসি)। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারী খাত থেকে ৬৮, ডিপিডিসি থেকে ১৪ এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ৯১ কোটি টাকা মেটানো হবে।

ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) এমএম মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রাহকদের অনেক সুবিধা হবে। সরকারও যথাযথ রাজস্ব পাবে। এটি প্রি-পেইড মোবাইলের মতো টাকা পরিশোধ করতে হবে। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার আগ মুহুর্তে  স্বয়ংক্রিভাবে মিটার সংকেত দেবে। এরপর টাকা পরিশোধ করতে হবে আর যদি না করা হয় তবে সংযোগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচ্ছিন্ন হবে। ’

মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে আশাবাদী তিনি।

ডিপিডিসি এরিয়ায় সকল কাস্টমার সার্ভিস পর্যায়ক্রমে প্রি-পেমেন্ট মিটারিংয়ের আওতায় আনা হবে।

সূত্র জানায়, থোক বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্পটির কাজ পরীক্ষামূলকভাবে জুলাই ২০১৩ সালে শুরু হলেও শেষ হবে ডিসেম্বর ২০১৫ সাল নাগাদ।

প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকল্প এলাকার সংশ্লিষ্ঠ গ্রাহকদের নিকট থেকে ১০০ ভাগ বিদ্যুৎ রাজস্ব অগ্রিম গ্রহণ করা হবে। গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য, উন্নত ও ঝামেলামুক্ত বানিজ্যিক সেবা প্রদান করা। ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে অতিরিক্ত লোডশেডিং প্রতিরোধ করা হবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ১ লাখ ৪০ সিংগেল ফেইজ প্রি-পেমেন্ট মিটার সংগ্রহ, সাড়ে ৪ হাজার থ্রি ফেইজ প্রি-পেমেন্ট মিটার সংগ্রহ, ৬টি হ্যান্ড হেল্ড ইউনিট, ১টি মাস্টার ইনফরমেশন সিস্টেম, ১টি ব্যাক-আপ মাস্টার ইনফরমেশন সিস্টেম, ইউটিলিটি কাস্টমাইজেশন সেন্টার (ইউসিসি) ৬টি, ইউটিলিটি ভেন্ডিং স্টেশন ২৯টি, একুইরেসি ভেরিফাইয়ার ওয়ারিং পলারিটি ভেরিফাই ১২টি, এইচভি মিটার ৬৫টি, কপার কেবল ৭০০ কি.মি, ১২টি এয়ারকুলার স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর ২টি ক্রয় করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৩
এমআইএস/এসএফআই/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।