ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সিলেটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৩

সিলেট: সিলেটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও অবৈধ সংযোগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ট্রান্সমিটার নষ্ট করে ও অবৈধ সংযোগ দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই টাকা আদায় করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা।



জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার মামরখানি গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ট্রান্সফরমার ও অবৈধ সংযোগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় গ্রাহকরা। পুরো উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা এ রকম অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

শুক্রবার এক অভিযোগে স্থানীয় গ্রাহকরা উল্লেখ করেন, ‘তাদের এলাকায় ১৫ কেভির একটি ট্রান্সফরমার দেওয়া হয়। কিন্তু এই ট্রান্সফরমারের ধারণ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা একের পর এক অবৈধ সংযোগ দেওয়ায় বিকল হয়ে পড়ে ট্রান্সফরমারটি। এক পর্যায়ে নতুন ট্রান্সফরমার দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৪০ হাজার ২৮৮ টাকা দাবি করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আখতারুজ্জামান।

এদিকে প্রায় অর্ধমাস বিদুৎহীন থাকার পর গ্রাহকরা টাকা তুলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কাছে জমা দিলে নতুন ট্রান্সফরমার সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর আবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অবৈধ সংযোগ দিতে থাকে।

অভিযোগে গ্রাহকরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কালিগঞ্জ বাজার ব্রাঞ্চ অফিসের ইনচার্জ নুরুল আমিন এই অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য করছেন। এ অবস্থায় গ্রাহকরা বারবার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি পাত্তা দেননি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, এটা বানোয়াট অভিযোগ। ট্রান্সমিটার নষ্ট হওয়ার পর নতুন ট্রান্সমিটার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়নি।

তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম আখতারুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৩
এসএ/কেএইচকিউ/এসএটি/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।