ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

প্রথম-পর্ব

আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

রেজাউল করিম রাজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

রামপাল (বাগেরহাট) থেকে ফিরে: দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (সিডি) কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, সেলাই মেশিন বিতরণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এনটিপিসি লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বাস্তবায়ন করে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় চলতি বছরের মার্চে। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সঙ্গীতা কৌশিক বলেন, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট ভারতের এনটিপিসি ও বাংলাদেশের পিডিবির একটি যৌথ উদ্যোগ। মৈত্রী প্রকল্পের শুরু থেকেই প্রকল্প এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাও আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। প্রকল্পের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা থেকে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। পুরুষ ও মহিলাসহ প্রায় ৫২৬ যুবককে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। লবণাক্ত পানি থেকে মানুষকে নিরাপদ পানীয় নিশ্চিতে রামপাল ও মোংলা উপজেলায় প্রায় ১১টি পানি শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমরা ৩০০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছি। আমরা শীতকালে গ্রামবাসীদের মধ্যে কম্বলও বিতরণ করি। এই ক্ষুদ্র কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আশেপাশের এলাকায় কমিউনিটি-ভিত্তিক উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শান্তনু কুমার মিশ্র বলেন, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের আওতায় প্রথমেই প্রকল্পের আশেপাশের এলাকায় গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় আমরা হেলথ চেকআপ ব্যবস্থা করেছি। সকল বয়সী গ্রামবাসী আমাদের হাসপাতালে এসে চিকিত্সাসুবিধা নিতে পারবেন। প্রকল্পের কাছাকাছি গ্রামগুলোতে আমরা নিরাপদ সুপেয় পানির খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। স্থানীয়রা এই উদ্যোগটির প্রশংসা করেছেন। প্রকল্প এলাকার আশেপাশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।

বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা: সম্প্রতি রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও নিকটবর্তী গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে গত এপ্রিল পর্যন্ত ৮০ হাজার ৮৭৯ জন স্থানীয় গ্রামবাসীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে অবস্থিত নিরাময় মেডিকেল সেন্টারে দৈনিক গড়ে প্রায় ৫০ জন মানুষ জরুরি ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে। প্রায় শতাধিক ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালিত নিরাময় মেডিকেল সেন্টারে রক্তপরীক্ষা (সিবিসি, সুগার, লিপিড প্রোফাইল), ইউরিন টেস্ট, হেপাটাইটিস বি ও ডেঙ্গু টেস্টসহ নানা পরীক্ষা নামমাত্র মূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।  

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে আসা স্থানীয় দিগরাজ গ্রামের জোবায়ের হোসেন বলেন, পেট ব্যথার কারণে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। এই হাসপাতাল চালু হওয়ার আগে আমাদের অনেক দূরে (বাগেরহাট সদর) যেতে হতো চিকিৎসার জন্য। এখন বাড়ির কাছেই ডাক্তার দেখাইতে পারি। ওষুধও পাই ফ্রি। এহন কষ্ট কম হয়।

দাকোপ থানার চুনকড়ি এলাকার বাসিন্দা ঠাকুর দাম মণ্ডলের কাজ করতে গিয়ে হাতের একটি আঙ্গুলের বড় একটি অংশই কেটে যায়, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত একমাস আগে কাজ করতে গিয়ে আমার হাতের একটি আঙ্গুলের বেশিরভাগ অংশ কেটে যায়, পরবর্তীতে আমি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে দায়িত্বরত ডাক্তার খুব যত্ন সহকারে আমাকে চিকিৎসা করান। আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ, আগের মতো কাজ করতে পারছি। চিকিৎসা ও ওষুধের জন্য আমার কোনও টাকা খরচ করা লাগেনি।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ডিউটিরত ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও হাসপাতাল নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চালু করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য খুবই উপকার হচ্ছে। এখন দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ জন মানুষ এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছে। এখানে ইমার্জেন্সি ও আউটডোর দুটি সেবায় সার্বক্ষণিক চালু আছে। নামমাত্র মূল্যে বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর সুযোগ রয়েছে এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রোগীদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা: বাগেরহাট জেলার রামপাল ও মোংলা উপজেলার বেশিরভাগই লবণাক্ত এলাকা। গ্রামবাসী বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে। এই দুই উপজেলায় পানির সমস্যা দূর করে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ইতিমধ্যে দুটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১১টি রিভার্স অসমোসিস (আরও) ওয়াটার ট্রিটমেন্ট বসানোর মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিন হাজার ৫০০ পরিবার উপকৃত হচ্ছে। সম্প্রতি সরেজমিনে রামপাল ও মোংলা উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্টগুলো ঘুরে ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার আল-জামিয়াতুল আরাবিয়া মজিদুল উলুম দিগরাজ কওমী মাদ্রাসা ও এতিম খানার সামনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের একটি প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এখান থেকে ওই গ্রামবাসীর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি নিচ্ছে।

জানতে চাইলে স্থানীয় রাজমিস্ত্রি মো. জাহাঙ্গীর বলেন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে খাওয়া ছাড়া আমাদের কোনও উপায় ছিল না। কারণ বোতলজাত পানি কিনে এনে খাওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। এখন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে দেওয়ার কারণে এখন আর গ্রামবাসীদের পানির কোনও চিন্তা করতে হচ্ছে না। কোনও রকম ঝামেলা ছাড়াই যখন-তখন প্রয়োজন মতো পানি নেওয়া যাচ্ছে।

দিগরাজ মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষক মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের এই এলাকার পাতালের পানি, পুকুর-খাল ও বিলের পানিও লোনা, খাওয়া যায় না। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে সারাবছর খাওয়াই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা। বর্তমানে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষ থেকে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আমাদের এখানে স্থাপন করার পর থেকে আমরা পানির কষ্ট এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছি। ’

কর্মসংস্থান: রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বিপুল পরিমাণ স্থানীয় মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে অদক্ষ কর্মীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই স্থানীয় মানুষরা কাজ করছে। এছাড়াও ২০১৬ সাল থেকে কম্পিউটার ও টেইলারিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৫২৬ জন স্থানীয় যুবসমাজ ও মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। যার মধ্যে ২৬৫ জন স্থানীয় যুবককে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং ২৬১ জন স্থানীয় মহিলাদেরকে টেইলারিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মাঝে আইটি সরঞ্জাম ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তারা এখন উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক ভূমিকা রাখছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক বছর আগেও এই উপকূলীয় বাসিন্দারা উন্নত জীবনের সঙ্গে তেমন পরিচিত ছিলেন না। বৃহত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আবার স্থানীয়দের বিপুল পরিমাণ মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হওয়ায় বদলে গেছে এই এলাকার মানুষের জীবনমানও।

শিক্ষা: রামপাল ও মোংলা উপজেলার ১৫টি স্কুল ও ৪টি কলেজে শিক্ষাগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বিভিন্ন শিক্ষামূলক উপকরণ, ব্যাগ, ওয়াটার ফিল্টার, ছাতাসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহায়তা করছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই হাজার ২০০ সেট শিক্ষামূলক উপকরণ বিতরণ করেছে। সর্বোচ্চ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রাইজবন্ড বিতরণ করছে।

এছাড়াও বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট থেকে স্থানীয় দরিদ্র বার্ধক্য এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষদের হুইল চেয়ার সরবরাহ করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ১২৫টি হুইল চেয়ার বিতরণ করেছে। প্রতিবছর শীত মৌসুমে রামপাল, মোংলা ও দাকোপ উপজেলার গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। গত কয়েকবছরে ১৮ হাজার  মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ যা বলছেন

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, জাতীয়ভাবেই আমাদের দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি আছে, সেই ঘাটতি মোকাবেলায় আমাদেরকে ডলার দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হচ্ছিল, এটা বিবেচনা করলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আমাদের জন্য দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির বাড়তি সুবিধা যুক্ত করেছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডকে শক্তিশালী করে বিদ্যুৎ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরেও রামপাল পাওয়ার প্লান্টের স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে। যার মধ্যে এক নাম্বার হচ্ছে এই প্রজেক্টের ফলে সরাসরি স্থানীয় অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার বিদ্যুৎ পাওয়ার ফলে এই এলাকায় অনেক ক্ষুদ্র শিল্পও গড়ে উঠেছে, যার মাধ্যমেও অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। লোকাল এমপ্লয়মেন্ট সিচুয়েশন ইম্প্রুভ করার ক্ষেত্রে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, আমরা যতদূর জানি কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির অধীনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থানীয় নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানে কম্পিউটার ও টেইলারিং প্রশিক্ষণ প্রদান করে সেলাই মেশিন ও কম্পিউটার সামগ্রী প্রদান করছে। তারা সেখানে হাসপাতাল নির্মাণ করেছে, যেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দিচ্ছে। একইসঙ্গে ঐ এলাকার মানুষের জন্য এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজে তারা সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে। বিভিন্ন সময় প্রজেক্টের পক্ষ থেকে স্কুল ব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ, ত্রাণসামগ্রী ও হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়, স্থানীয় জনগণের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবায় মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়। রামপাল পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, যা প্রশংসার দাবিদার।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪

আরকেআর/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।